খাদ্যগুদাম থেকে ফেব্রুয়ারী ও মার্চ মাসের ভিজিএফ ও ভিজিডির চাল যথাসময়ে উত্তোলন না করায় বাউফলের ৫ চেয়ারম্যানকে শোকজ করা হয়েছে। পটুয়খালী জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগ আজ বৃহষ্পতিবার ওই শোকজ করেন।
সূত্র জানায়, বাউফলের নাজিরপুর, কালাইয়া, চন্দ্রদ্বীপ, কেশবপুর ও সূর্যমনি ইউনিয়নের জেলেদের জন্য প্রতিমাসে ৪০ কেজি হারে ফেব্রুয়ারী ও মার্চ মাসের ১৫১.৪৭০ মে:টন চাল উপজেলার কালাইয়া খাদ্যগুদামে জমা রয়েছে। এমন খবর জানার পর বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.জাকির হোসেন ২২ এপ্রিল বুধবার সরেজমিন খাদ্যগুদাম পরিদর্শন করে চাল মজুদ রয়েছে দেখতে পান। এমতাবস্থায়, তিনি সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের দ্রুত চাল ছাড় করে উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণের কথা বলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কথা মোতাবেক আজ বৃহষ্পতিবার চাল উত্তোলন করেন। এদিকে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো.হেমায়েত উদ্দিন যথা সময়ে চাল উত্তোলন না করার দায়ে ওই পাঁচ ইউপি চেয়ারম্যানকে শোকজ করেন এবং তিন কর্ম দিবসের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনকে জানাতে বলা হয়ছে। এ ব্যাপারে নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো.ইব্রাহিম ফারুক ও কেশবপুর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন লাভু অভিন্নভাবে বলেন, আমাদের চাল রাখার মতো গুদাম নাই। খাদ্যগুদাম থেকে চাল পরিবহন করতে অনেক টাকা খরচ হয়। সরকারের পক্ষ থেকে পরিবহন বাবদ কোন টাকা দেয়া হয়না। এ ছাড়া গুদামের শ্রমিকদের টাকাও আমাদের দিতে হয়। এজন্য খরচ বাঁচাতে প্রতি দুই মাস অন্তর চাল উত্তোলন করে বিতরণ করি। এবারে করোনার কারণে শ্রমিক ও পরিবহন সংকটের কারণে যথা সময়ে চাল উত্তোলন করতে পারিনি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসবই জানেন। চেয়ারম্যানদ্বয় আরো বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি কোন খাদ্যগুদাম নাই। আমাদের ব্যাক্তিগত গুদাম চাল রাখলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এসে গুদাম অবরুদ্ধ করে। তখন সাধারন মানুষ আমাদেরকে চাল চোর হিসাবে চিহ্নিত করে। সাংবাদিকরাও অভ্যন্তরীন কোন বিষয় না জেনে চাল চোর বলে সংবাদ পরিবেশন করেন। উর্ধধতন কর্তৃপক্ষ আমাদের সমস্যা জেনেও শোকজ করেছেন। এটা সতিকার অর্থে আমাদের দুর্ভাগ্য।