করোনা পরিস্থিতিতে বাগেরহাটে এবার হতদরিদ্র ও বর্গা চাষীদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ প্যানেল প্রত্যশী প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকালে মোরেলগঞ্জ উপজেলার নরুল্লাপুর গ্রামের কৃষক রুহুল আমিনের দুই বিঘা জমির ধাণ কাটার মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু করেন চাকুরী প্রত্যাশীরা। চাকুরী প্রত্যাশীদের সাথে একত্বতা ঘোষনা করে মাঠে নেমে ধান কাটেন মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. শাহ-ই-আলম বাচ্চু। এসময় প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল প্রত্যাশী-২০১৮, বাগেরহাট জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ মিরাজ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রাজিব শিকদারসহ চাকুরী প্রত্যাশীরা উপস্থিত ছিলেন। করোনা পরিস্থিতি ও অতিবৃষ্টির মধ্যে ধান কেটে দেওয়ায় খুশি হয়েছেন হতদরিদ্র কৃষকরা।
কৃষক রুহুল আমিন বলেন, বৃষ্টির মধ্যে ধান কেটে ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কায় ছিলাম। এর মধ্যে এলাকার শিক্ষিত ভাইরা এসে আমার ধান কেটে দিলেন। আমি খুব খুশি হয়েচি। সকল শিক্ষিত ও ধনী মানুষরা যদি কৃষকদের পাশে দাড়ায় তাহলে কৃষকদের কষ্ট দূর হবে বলে আশা করেন তিনি।
প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল প্রত্যাশী-২০১৮, বাগেরহাট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজিব শিকদার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা কৃষকদের ধান কেটে দিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে আমরা সকল উপজেলায় কৃষকদের ধান কেটে দিব।
প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল প্রত্যাশী-২০১৮, বাগেরহাট জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ মিরাজ হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের একটাই দাবি পূর্বের নিয়োগের মত ২০১৮ সালের নিয়োগেও প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে আমাদের বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি দিন।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে ২৪ লক্ষ চাকুরী প্রার্থীর সাথে প্রতিযোগিতা করে আমরা ৫৫ হাজার ২‘শ ৯৫ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। যা মোট পরীক্ষার্থীর ২ দশমিক ৩ শতাংশ। ফলে আমাদের যোগ্যতা নিয়ে কোন সংশয় নেই। তাই মুজিববর্ষ উপলক্ষে মূন্য পদের বিপরীতে সার্কেল প্যানেলের মাধ্যমে সরাসরি নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।