রাজশাহী পুঠিয়ায় ভক্তাঅধিকার এবং উপজেলা প্রশাসনের সঠিকভাবে দেখাশুনা না থাকার জন্য, করোনাভাইরাস এবং রমজানের ভেতর উপজেলার জুড়ে মানুষদের অনেক বেশি দামে নিত্য প্রয়োজনীয় মুদিপণ্য কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রশাসন বলছে, আমরা সকল হাট-বাজারে সব দোকানীদের সঠিকভাবে দাম নেয়ার কথা বলে দেয়া হয়েছে।
দেখা গেছে, সারা পৃথিবীর মানুষ করোনাভাইরাসের কারণে ঘরের ভেতর অবস্থান করতে বাধ্য হয়েছে। বাংলাদেশ এর বাহিরে নয়। নিজে এবং দেশকে বাঁচানোর জন্য আমরা ঘরের ভেতর থাকার চেষ্টা করে আসছি। সাধারণ খেটেখাওয়া মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়ার কারণে, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের ত্রাণ দেয়ার হচ্ছে। জীবন বেঁচে রাখার জন্য সব মানুষকে খেতে হয়। বর্তমানে ছিন্নমূল এবং খেটেখাওয়া মানুষগুলো জীবন রক্ষার্থে বাড়ির বাহিরে হতে দেখা যাচ্ছে। এই উপজেলায় ছোট বড় মিলে বেশ কয়েকটি হাট-বাজার রয়েছে। করোনাভাইরাসের ভেতর আবার গত ২৫ এপ্রিল হতে রমজান শুরু হয়েছে। এমনিতে রমজান আসলেই এ দেশে জিনিসপত্রের দাম হু হু বেড়ে যায়। তারপর পৃথিবীতে এখন নতুন করে করোনাভাইরাস দেখা দেয়ায়। উপজেলার সব মুদিখানা দোকানগুলোতে নিত্য প্রয়োজনীয় মুদিপণ্য কেজিতে বিশ/ত্রিশ টাকা বেশি দামে পণ্যদ্রব্য কিনার অভিযোগ রয়েছে। মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে দারদাম না করেই পণ্যসামগ্রী কিনছে। উপজেলার একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ, যদি ভক্তাঅধিকার এবং উপজেলা প্রশাসনের সঠিকভাবে বাজার দেখাশুনা করতো,তাহলে এত বেশি দামে পণ্যসামগ্রী মুদিদোকানদারা বিক্রি করতে পারত না। করোনা এবং রমজান মাসের ভেতর শুধুমাত্র একদিন বানেশ্বর বাজারে ভক্তাঅধিকার আইনের লোকেরা অভিযান পরিচালনা করেছেন। নিয়নুয়াী প্রতিটি হাট-বাজারে দোকানগুলোতে মূল্য তালিকা দোকানের সামনে রেখে ব্যবসা করার বিধান রয়েছে। কিন্তু উপজেলার বেশির ভাগ দোকানগুলোতে এই নিয়ম অমান্য করে ব্যবসা করতে দেখা যাচ্ছে। আবার তালিকায় যে মূল্য দেয়া আছে, তার চেয়ে বেশি দাম নেয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আক্কাস নামের এক ব্যক্তি বলেন, ফকরুদ্দিনের আমালে সারের ব্যবসা করে ছিল সার ব্যবসায়ীরা। এখন ফকরুদ্দিনের আমালে মতো ব্যবসা করছে মুদিখানা দোকানদারা। কেউ দেখাা নেই, বলার নেই, শুনার নেই। মানুষ বেশি দাম নেয়ার পরও লাইন ধরে মুদিপন্য কিনতে হচ্ছে। করোনার দুর্যোগ এবং রমজারের সুযোগ নিয়ে তারা ধনী হয়ে গেল। পুঠিয়া ত্রিমোহনী বাজার এবং পুঠিয়া পাঁচআনি বাজারে ভক্তাঅধিকার অভিযান পরিচালনা না করার ফলে প্রতিটি পণ্যের দাম বেশি নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। করোনাভাইরাসের ভেতরও মুদিখানা দোকানগুলো পণ্য কেনাবেচা নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকতে দেখা যাচ্ছে। যার জন্য গ্রহকদের দুরত্ব রেখে তারা ব্যবসা করছে না। উপজেলাবাসীদের অভিযোগ, টিসিবির পণ্য কখন কোথায়, কিভাবে বিক্রি করা হচ্ছে। তা বেশিরভাগ মানুষ যানতে পাচ্ছে না। নির্দিষ্ট ভাবে আগে থেকে মানুষদের জাানালে। তারা সহজলভ্য মূল্য টিসিবি পণ্যগুলো কিনতে পারত। তা করা হচ্ছে না। টিসিবি বিক্রয় প্রতিনিধি মোজাম্মেল হোসেন বলেন, মানুষের চাহিদার তুলনায় আমরা পণ্য অনেক কম পাওয়ার জন্য মানুষের হুমমি খাওয়া চাহিদা পূরণ করতে পারছি না। বর্তমানে উপজেলায় প্রতিদিন যে পণ্যগুলি দেয়া হচ্ছে। তার চেয়ে সরকার আরো বেশি পণ্য দিলে হয়তো, মুদিখানা দোকানগুলির উপর থেকে চাপ অনেক কমে যাবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ওলিউজ্জামান বলেন, আমরা সকল হাট-বাজারে সব দোকানীদের সঠিকভাবে দাম নেয়ার কথা বলে দেয়া হয়েছে। যদি কোনো দোকানদার পণ্যের দাম বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি ধরে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।