রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলায় কর্মমুখী মানুষ যেতে এবং ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরতে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে যাত্রীদের উপচেপরা ভির দেখা গেছে। নদী পারাপার হতে সাধারন মানুষের মাঝে কিন্তু সামাজিক বা শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে চলার কোন আলামত দেখা যায়নি।এতে করোনা ভাইরাস বিস্তারের ঝুকিও বেড়েছে জন সাধারনের মাঝে।
দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ভাড়ায় চালিত প্রাইভেটকার, মাক্রোবাস ও শতশত মরটসাইকেল যাত্রী নিয়ে আসা-যাওয়া করছে। এতে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে উপচে পড়া ভির দেখা যায়। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা দূরের কথা ফেরি ঘাটের পল্টুনে পা রাখার জায়গা নেই জনসাধারনরে চাপে। এদিকে ঢাকায় যেমন ভাবে মানুষ যাচ্ছে ঠিক তেমনি ঢাকা থেকে মানুষ বাড়িও ফিরছে।
করোনাভাইরাসের কারণে ২৫ মার্চ থেকে দেশের সকল প্রকার গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। লঞ্চ চলাচলও রয়েছে বন্ধ। তবে জরুরী পণ্যবাহী ট্রাক ও এ্যাম্বুলেন্স নদী পারাপার করার জন্য দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে অল্প পরিসরে মাত্র ২টি রোরো (বড়) ও ৪টি ইউটিলিটি (ছোট) সহ মোট ৬টি ফেরি চলাচল করছে। এই সুযোগে সাধারণ মানুষ অবাধে নদী পারাপার হচ্ছে। বিকালে যানবাহন ও মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে ফেরির সংখ্যাও বাড়ানো হয় পারাপারের জন্য।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, ফেরি চলাচল করলে যাত্রী পারাপার করবে। কারণ যাত্রী পারাপার নিয়ন্ত্রন করে ঘাট ইজারাদার ও প্রশাসন। এদিকে পন্যবাহী ট্রাক ও এ্যাম্বুলেন্স নদী পারাপার করার জন্য ২টি বড় ও ৪টি ছোট ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। রাতে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ফেরিও বৃদ্ধি করা হয়।