করোনা মোকাবেলার যুদ্ধে শারীরিক,সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে নিজের জীবন ও পরিবারকে সুরক্ষায় নিজ নিজ জীবিকা,কর্মসংস্থান আর অর্থনৈতিক আয়ের চাকাকে সচল রাখতে প্রাণীর খামারের যেকোন জরুরি চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শে বাড়িতে থেকেই সরাসরি চিকিৎসা প্রদান করছেন উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: আমির হামজা। পাশাপাশি ব্যাক্তি উদ্যগে অসচ্ছল খামারিদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পৌছে দিচ্ছেন প্রাণীদের বিভিন্ন ধরনের খাবার। মোবাইল নাম্বারের পাশাপাশি ভিডিও কলব্যাক্তিগত ফেইসবুক মেসেঞ্জার প্রতিনিয়ত সেবা দিচ্ছেন খামারিদের জাতে করে করোনা সংক্রামনের হাত থেকে যেমন ভাবে রক্ষা পাচ্ছে সবাই তেমনি ঘরে বসে সেবা পাচ্ছে খুবি দ্রুত। এতে খুব সহজেই মানুষ তাদের প্রানীদের চিকিৎসা করতে পারছে। শেরপুর উপজেলার মধ্যে খামারিরা সেবা নিচ্ছে ঘরে বসে। আবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও খামারিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেবা দিচ্ছেন তিনি। প্রতিদিন তার অফিসে আশি থেকে ১শ জন খামারিকে সেবা দিচ্ছেন তিনি । এমন উদ্দ্যেগে যেমন ভাবে মানুষ উপকৃত হচ্ছে তেমন ভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি কম হচ্ছে বলে মনে করছেন সুধি মহল। এইরকম প্রযুক্তি নির্ভ্রর পদ্ধতি মেনে কাজ করলে হয়তো খুব সহজে করোনা সংক্রমন রোধ করা সম্ভব হবে বলেও মনে করেন অনেকে।
এই বিষয়ে উপজেলার এক খামারি ভাইয়ের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এই কার্যক্রম আসলেই প্রশংসার দাবিদার। কেননা আমরা খুব সহজে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘরে বসে সেবা নিচ্ছি। আমি যদি অনেক রাত্রিতেও স্যার কে ফোন দেই তিনি কোন সময় বিরক্ত হননা এবং সঙ্গে সঙ্গে আমাকে পরামর্শ দেন। আমি দেখেছি শুধু শেরপুরের খামারিরাই না দেশের বিভিন্ন এলাকার লোক তার কাছ থেকে সেবা নেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: আমির হামজার সাথে কথা বললে তিনি জনান, আমি প্রতিদিন উপজেলার মিনিমাম ১শত খামারি সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার খামারি ভাইদের সেবা দিচ্ছি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে ইমারজেন্সি ভাবে সেবা দিচ্ছি। জাতে করে কোন খামারি ভাই যেন কোনমতে ক্ষতিগ্রস্থ্য না হয়। উপজেলা প্রানী সম্পদ অধিদপ্তর সর্বদা মানুষের সেবাই নিয়জিত।