ভোলাহাট উপজেলায় করোনা ভাইরাস পরীক্ষা রিপোর্টে ৬ মে হাসপাতালে কর্মরত দু’জনসহ মোট ৩জনের করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়। ঝড় উঠে সারা ভোলাহাটে। অঘোষিত লকডাউন হাসপাতাল জুড়ে। এবার নিজেরা স্বাস্থ্য সুরক্ষার ঝুঁকিতে আছেন কিনা নিজেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ে দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেন ভোলাহাট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দল বেঁধে দায়িত্বরত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে ৪৭জনের করোনা নমুনা সংগ্রহ করে ৭ মে পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট ল্যাবে। আতঙ্ক ভয় আর সর্তক সচেতনতায় উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের প্রায় ৬৩জন করোনা সনাক্তের জন্য নমুনা দিলেন। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও আসে না করোনা পরীক্ষার ফল।
ভোলাহাট হাসপাতালের ৭ মে ৪৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার রিপোর্ট আসে ১০দিন পর। তাও আবার ৯ জনের নেগেটিভ বাঁকী ৩৮জনের নেগেটিভ বা পজেটিভ না এসে আসছে ইনভ্যালিট(অকার্যকর)। এ রিপোর্ট নিয়ে এলাকায় বেশ ঝড় উঠেছে। সচেতনমহল বলছেন, নমূনা সংগ্রহে অদক্ষতা, কীট সংরক্ষণে অদক্ষতা না ল্যাব টেকনিশিয়ান অদক্ষতার কারণে একদিন একই সময় সংগ্রহ করা নমূনায় ৯জন নেগেটিভ আসলেও বাঁকী ৩৮জন এল অকার্যকর।
এটা কি আন্দাজে রিপোর্ট দিয়ে মানুষকে সান্তনা দিয়ে করোনা প্রতিরোধের অভিনব কৌশল? না সংশ্লিষ্ট সমগ্র করোনা নমূনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে সকলের অদক্ষতায় রিপোর্ট নিয়ে জটিলতা এমন প্রশ্ন অভিজ্ঞমহলের। সচেতনমহল মনে করেন, গত ৬ মে সনাক্ত হলো হাসপাতালে কর্মরত ২জন ব্যক্তি করোনা পজেটিভ। প্রেক্ষীতে হাসপাতালে কর্মরত আক্রান্তের সংস্পর্শেএসে অন্য সহকর্মীরা আক্রান্তের আতঙ্কে বা সুরক্ষা থাকতে নমূনা সংগ্রহ করে সে পরীক্ষার রিপোর্ট যদি ১০দিন পর এলোমেলো ভাবে ৯জন নেগেটিভ বাঁকী ৩৮জন অকার্যকর হয় তবে করোনা ঝুঁকি থেকে যাবে বলে মনে করেন।
এদিকে আক্রান্ত হয়ে থাকলে রিপোর্ট আসতে র্দীঘ সময় লাগলে আক্রান্তদের মৃত্য বা এলাকায় করোনা ভাইরাস ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছেন। এ ছাড়া অদক্ষ সংশ্লিষ্টদের করোনা নমূনা পরীক্ষার প্রতি মানুষের আস্থা হারাবে। এদিকে হাসপাতালে কর্মরতরা ভীষণ ভাবে আতঙ্কিত রয়েছেন এ রিপোর্ট পাওয়ার পর।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালে কর্মরতারা জানান, তাদের সহকর্মী যেহেতু পজেটিভ ধরা পড়েছে সেহেতু তার সংর্স্পশে অন্যরা গিয়ে আরো অনেকেই করোনা পজেটিভ আশার আশঙ্কা করছেন। তাদের ধারনা বাঁকী ৩৮জন করোনা পজেটিভ থাকায় কি রিপোর্ট অকার্যকর দেখিয়েছে? এনিয়ে সবার চোখে মুখে রয়েছে আতংকের ছাপ। দ্রুত এর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে আছেন কর্মরত করোনা যৌদ্ধারা।
এদিকে কর্ম এলাকায় না থেকে কর্তব্য পালন না করার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন মেডিকেল অফিসারের বিরুদ্ধে। তারা কর্মএলাকা ছেড়ে বাড়ীতে অবস্থান করার অভিযোগ রয়েছে। ভোলাহাট হাসপাতালসহ বিশাল উপজেলার মানুষ করোনা নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন। এ সময়ের বড় আশ্রয় স্থান হাসপাতাল। সেখানকার দায়িত্বশীলেরা যদি নিজেদের সুরক্ষা না পায় তবে অন্যান্যের কি সুরক্ষা দিবেন এমন প্রশ্ন উঠেছে।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা আবদুল হামিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা যথাযথ প্রক্রিয়ায় নমূনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠিয়ে ছিলাম। ৪৭জনের নমূনা পরীক্ষার রিপোর্টের মধ্যে ৯জনের নেগেটিভ এসেছে বাঁকী ৩৮জনের ইনভেলিট(অকার্যকর) রিপোর্ট এসেছে বলে নিশ্চিত করেন। অকার্যকর রির্পোটের ব্যক্তিদের আবার নমূনা সংগ্রহ করে পাঠানো হবে বলে জানান।