এবার নোয়াখালীর সেনবাগ পৌরসভা এলাকায় উম্মে সালমা (৩০) নামের এক নারী করোনায় সংক্রমিত হয়েছে। রোববার রাতে ওই নারীর করোনা পরীক্ষার ফলাফল (প্রজেটিভ) সংক্রমিত প্রমানিত হয়। এরপর সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও থানা পুলিশ সেনবাগ পৌরভার দক্ষিন অজুনতলা ৩নং ওয়ার্ডের আমান উল্লাহ হুজুরের বাড়িটি লকডাউন করে। এবং ওই বাড়িটিকে হোম আইস্যুলেশন ঘোষনা করে বাড়ির সামনের চলাচল পথ বন্ধ করে সর্তকতা সূচক লাল পতাকা উড়িয়ে দেয়। লকাডাউন করা বাড়িটি করোনা সংক্রমিত উম্মে সালমার পিতার বাড়ি। সে শ্বশুড় বাড়ি বেগমগঞ্জের মিরওয়ারিশপুর উকিল বাড়িতে সংক্রমিক হয়েছেন।
এদিকে, সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা(ইউএইচপিও) ডাক্তার মতিউর রহমান জানান, করোনায় সংক্রমিত ব্যাক্তিদের সংস্পশে আসা সদস্যদের পর্যায় ক্রমে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে নিশ্চিত করেন।
সোমবার দুপুরে স্থানীয়রা জানান,আমান উল্যা হুজুর পাশ্ববর্তী কুমিল্লার লাঙ্গল উপজেলার বক্সগঞ্জে, তার এক ছেলে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের সাহাপুর বায়তুল আমান জামে মসজিদ ও অপর ছেলে আমতলীতে মসজিদে ইমামতি করেন।
এই নিয়ে সেনবাগে ৪জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছে। এরা হচ্ছেঃ সফিউর রহমান (৫৬) তিনি জনতা ব্যাংক এক স্টাফ গার্ডে ১০ মে কর্মরত থাকা অবস্থায় করোনা সনাক্ত হয়। সফিউর রহমানের বাড়ি সেনবাগ উপজেলার ১নং ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে। সে ওই গ্রামের দাসুয়া বাড়ির আসলাম মিয়ার ছেলে।
এরপর ১৬ মে আবু নাছের নামের আরো এক ব্যাংক কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তার বাড়ি সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের আজিজপুর গ্রামে। সে ওই গ্রামের পাঁচানী বাড়ির মোঃ রফিক উল্লাহ ছেলে। আবু নাছেন বেগমগঞ্জের চৌমুহনীর পূর্বালী ব্যাংক গোলাবাড়িয়া শাখায় ক্যাশিয়ারের দায়ীত্বে ছিলেন। এছাড়াও সর্বপ্রথম সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউপির উদ্ধানিয়া গ্রামে আলী আক্কাস নামে একজন করোনায় সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে।