বগুড়ার নন্দীগ্রাম-কাহালু উপজেলাবাসীর পাশে রয়েছেন জেলা যুবদল নেতা এম.এ রাজ্জাক সুমন। তিনি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে রান্না করা খাবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌছনোর কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
জানা গেছে, প্রতিদিন দুই হাজার অসহায় মানুষকে একবেলা রান্না করা খাবার ও প্রয়োজনে নগদ অর্থ অসহায় ও কর্মহীন মানুষের মাঝে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন এবং এখন সে সংখ্যা ৩০০০ এ পৌঁছে গেছে।
প্রতিদিন মোট ১৭০ জন ভলেনটিয়ার ৩৭ টি মটোরসাইকেল ব্যবহার করে বাড়ি বাড়ি শুধু খাবার বিতরনই নয় পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সচেতনেতা মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। করোনা ভাইনাস সংক্রমন হতে নিরাপত্তার জন্য ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করেন শিশু হাসপাতাল সহ কাহালু উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স এবং নন্দীগ্রাম উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী চিকিৎসক পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার ড্যাবের সেক্রটারি ডা. রোজ এর নিকট ডাক্তারদের জন্য ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে, বগুড়া শিশু হাসপাতালের ব্যবস্থাপক সজল এর নিকট পিপিই, সেফ শিল্ড এবং অন্যান্য স্বাস্থ সুরক্ষা সামগ্রী হস্তান্তর করেন সাবেক জেলা যুবদল নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম.এ রাজ্জাক সুমনের পক্ষ থেকে নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান একে আজাদ ও বগুড়া জেলা স্বেচ্ছা সেবক দল নেতা আহাদ আলী। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এই যুবনেতা।
শুধু তাই নয়, এই মহা সংকটের সময় সাধারণ মানুষের দুরবস্থা বিবেচনা করে বগুড়া শহরস্থ তার বাড়ি ও দোকানপাটের সমস্ত ভাড়াটিয়ার তিন মাসের ভাড়াও তিনি মওকুফ করে দিয়েছেন।
এম.এ রাজ্জাক সুমন বলেন, যে কোন দূর্যোগে আমি অতীতেও জনগণের পাশে ছিলাম, বর্তমানেও আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো ইনশাআল্লাহ। দেশে করোনা পরিস্থিতি যতদিন থাকবে ততদিন তার এসব কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।