গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এই ইউপি সদস্য বয়স্ক, বিধবা, মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড করে দিয়ে ভাতাভোগীদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের কথা বলে এলাকাবাসীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।
জানাগেছে, উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য কার্তিক শিকদার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার ওয়ার্ডে বয়স্ক, বিধবা ও মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড করে দিয়ে ভাতাভোগীদের কাছ থেকে ৩ থেকে ৫হাজার টাকা গ্রহণ করেছে। এছাড়াও তিনি এলাকায় ভিজিএফ ও ভিজিডির কার্ড এবং সরকারি ঘর তৈরী করে দিতেও বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে।
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে তার বিরুদ্ধে আনীত এ সকল অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
কলাবাড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের চকপুকুরিয়া গ্রামের বিজয় রায় বলেন, আমার মায়ের নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে ইউপি সদস্য কার্তিক শিকদার আমার কাছ থেকে ৫হাজার টাকা নিয়েছেন।
একই গ্রামের প্রতুল মধু বলেন, ইউপি সদস্য কার্তিক শিকদার আমাকে একটি সরকারি ঘর দিয়েছে। এই ঘর দিতে তিনি আমার কাছ থেকে ২৫হাজার টাকা নিয়েছেন।
বিদ্যুত মধু বলেন, কার্তিক শিকদার আমার স্ত্রীকে একটি মাতৃত্বকালীন ভাতা করে দেওয়ার কথা বলে ৩হাজার টাকা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য কার্তিক শিকদারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, আমি যার যার কাছ থেকে যে টাকা নিয়েছিলাম তাহা ফেরত দিয়েছি।
কলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাইকেল ওঝা বলেন, এলাকার কিছু জনগনের সাথে কার্তিক শিকদারের বিরোধ ঘটনা ঘটে ছিল। তাহা আমি মিমাংসা করে দিয়েছি। তবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। কার্তিক শিকদার যদি ভাতার কার্ড বিতরণে অনিয়ম করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।