পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা যুবলীগের সদস্য নিহত তাপস দাসের (২৯) খুণিদের গ্রেপ্তারের দাবীতে জনপ্রতিনিধিগন প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। রোববার বেলা ১১টায় পটুয়াখালী জেলা পরিষদ বাউফল উপজেলা পরিষদ ও বাউফল উপজেলা পরিষদের বিভিন্নস্তরের জনপ্রতিনিধিগন বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় তারা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।
জানা গেছে, যুবলীগ নেতা তাপস হত্যার প্রতিবাদে বাউফলের সর্ব্ত্র খুনিদের গ্রেফতারের দাবীতে প্রতিবাদ, মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান ও বিক্ষোভ সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় জনতা ভবন থেকে বাউফল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল মোতালেব হাওলাদার ও বাউফল পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ইব্রাহিম ফারুকের নেতৃত্বে প্রায় বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি সহ ৩সহস্রাধিক আওয়ামী লীগ দলীয় নেতা কর্মীর এক বিক্ষোভ মিছিল বাউফল উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেনের মাধ্যমে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। বিক্ষোভকারীরা মিছিলটি নিয়ে বাউফল থানার সামনে এসে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে আরেকটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। জেলা পরিষদের ৪সদস্য, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভাইসচেয়ারম্যানদ্বয় সহ ১৩জন চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত ও উপস্থিতিতে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এ সময় বাউফল পৌর কাউন্সিলর পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফরহাদ হোসেন, কাউন্সিলর নুরুলহক মাষ্টার, কাউন্সিলর মামুনখান সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যগন ও সংরক্ষিত নারীসদস্যগন উপস্থিত ছিলেন। স্মারকলিপি প্রদান শেষে বিক্ষোভকারীগন ইলিশ চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোতালেব হাওলাদার পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষনা করেন। বাউফল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক তাপস হত্যার মূল আসামি মেয়র জুয়েলসহ সকল খুনিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করার দাবী জানান। অন্যথায় উপজেলার সর্বত্র লাগাতর আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দেন।
প্রসঙ্গত: গত ২৪ মে দুপুর দুইটার দিকে তোরণ নির্মাণকে কেন্দ্র করে সাবেক চিফ হুইপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আসম ফিরোজের সমর্থিত নেতা কর্মীদের সাথে বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আসম ফিরোজ সমর্থিত যুবলীগ কর্মী তাপস দাস (২৯)কে ধারালো অস্ররে আঘাতে গুরুতর জখম হয়। এ ঘটনায় আহত হয় ১৫ নেতা কর্মী। ওই দিনই গুরুতর আহত অবস্থায় তাপস ও ইমাম নামের আরেক যুবলীগ কর্মীকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসারত অবস্থায় ওই দিনই রাত সারে সাতটায় তাপসের মৃত্যু হয়।