বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা: মামুন হাসান ( কোড নং-১৩০৯৯০) এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, কত্যব্যে অবহেলা ও সরকারী অর্থ আত্মসাতের ১০টি পয়েন্ট এনে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট মহা পরিচালক স¦াস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালী ও অতিরিক্ত মহা পরিচালক, ঢাকা-১২১২ কে প্রেরন করা হয় ।
এর অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে পরিচালক (প্রশাসন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর,ঢাকা।দৃষ্টি আকর্শন করা হয়েছে উপ-পরিচালক(শৃঙ্খলা)স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালী,ঢাকা। বিভাগীয় প্রধান, দুদক, বয়রা কমিশনার ভবন, খুলনা। পরিচালক, স্বাস্থ্য,খুলনা অঞ্চল,খুলনা। সিভিল সার্জন বাগেরহাট ও পত্রিকার সম্পাদক/সাংবাদিকদের।
গত ১২-০৫-২০২০ তারিখে প্রেরিত চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ভুক্তভোগী কর্মচারীবৃন্দ স্বাক্ষর বিহীন ডাকযোগে এ অভিযোগ পাঠিয়েছেন এফএনএস চিতলমারী উপজেলা প্রতিনিধি মো: একরামুল হক মুন্সী বরাবর। অভিযোগের ১০টি পয়েন্টে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা হলোঃ
বিগত ২৫/০৯/২০১৯ত ারিখে ডা: মামুন হাসান চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন, তার চাকুরীর বয়স মাত্র ৬বছর হলেও ক্ষমতার জোরে কর্মকর্তার চেয়ারে বসেছেন। এক্ষেত্রে তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেছেন।বর্তমান তিনি স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে যা ইচ্ছে তা করে চলেছেন। ক্রমানুসারে অভিযোগ সমুহ:
(১)যোগদানের পরথেকে অফিস চলাকালিন অফিসে বসে তিনি অর্থ নিয়ে রোগী দেখেন। অসহায় প্রতিবন্দিদের নিকট থেকে দালালের মাধ্যমে অর্থনিয়ে ফরমে স্বাক্ষর দেন। অর্থদিতে অপরগতা প্রকাশ করলে তাদের সাথে খারাফ আচরন করেন এবং কক্ষ হতে বের করে দেন।
(২)কর্মচারীদের সাথে অকথ্য, অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলেন এবং কক্ষ হতে লাথি মেরে বের করে দেবার হুমকি দেন ও মানসিক অশান্তির সৃস্টি করেন। ৩৯ বিসিএস এর একজন সহ- ডেন্টাল সার্জন যোগদান করায় দীর্ঘদিন যাবত সুণামের সাথে কর্মরত মেডিঃ টেক(ডেন্টাল) আশিষ কুমার বৈরাগীকে তার কক্ষ হতে বের করে দেন এবং তাকে কুটুক্তি মুলক কথা বলায় সে মানসিক যন্ত্রনায় ঐদিন রাতে বুকের ব্যথায় ছটফট করতে থাকেন এবং তাকে খুলনায় নিয়ে হার্টে রিং সংযোজন করতে হয়। তার পরেও তাকে বসার কোন কক্ষ না দেয়ায় দীর্ঘদিন যাবত মানসিক অশান্তিতে ভুগে আবশেষে ২৭-০৪-২০২০ তারিখ ঐ যন্ত্রনা নিয়ে মৃত্যবরন করেন।
(৩ ) হাসপাতালের ভিতরের নারিকেল সহ বিভিন্ন ফলজ এবং পুকুরের মাছ বিক্রি করে সে অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাত করেছেন।
(৪) ফিল্ড ভিজিট না করে প্রতিমাসে ভ্রমণ ভাতাবিল বাবদ প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নেন । অফিসিয়াল গাড়ী তিনি পারিবারিক কাজে ব্যবহার করেন।
(৫) এক্স-রে মেশিন থেকে আয়ের অর্থ কোষাগারে জমা না করে সমুদয় নিজে আত্মসাত করেন। কেবিন ও ইসিজি থেকে প্রাপ্ত টাকার আংশিক জমা দিয়ে বাকীটা আত্মসাত করেন।
(৬) ভিসন সেন্টারে নেট সংযোগ বাবদ ৪৫,০০০/=টাকা সরকারী বরাদ্দ আসলে কোন কাজ না করিয়ে সমুদয় অর্থ নিজেই গ্রহন করেন।
(৭) পুষ্টি সপ্তাহ পালনের বরাদ্দকৃত ১,২৮,০০০/=টাকার কোন কাজ না করিয়ে সম্পুর্ন অর্থ তিনি তার পকেট বন্দি করে রেখেছেন।
(৮) কোয়ারান্টাইন খাতে ৩,০০,০০০/=টাকা বরাদ্দের নীতিমালা মোতাবেক ভর্তিকৃত কোয়ারান্টাইনে রোগীদের খাওয়ানোখাতে,তদারকি খাতে,ঘরভাড়া প্রভৃৃতিখাতে খরচ করার বিধান রয়েছে। অত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এরুপ কোন খরচ না হওয়া সত্বেও উক্ত টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে উত্তোলনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
(৯) স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে তিনি অনেক কর্মচারীকে দিয়ে অনিচ্ছা সত্বেও অনেক বিধি বহির্ভূত কাজ করাতে বাধ্য করাচ্ছেন।
(১০) শুধুুতাই নয় ; ডা: মামুনের বিরুদ্ধে হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্স এবং আয়ার সাথে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
উপরোক্ত অভিযোগের আলোকে কর্মচারীবৃন্দ ঐ কর্মকর্তার নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানিয়েছেন; এবং তার রোষানলের হাত থেকে পরিত্রান চেয়েছেন। এব্যপারে ডা: মামুন হাসান জানান; অভিযোগ কারিরা আমার ভাল কাজ দেখে ঈশান্বিত হয়ে বানোয়াট দরখাস্ত প্রেরন করেছে।