বাগেরহাটের চিতলমারীতে মরহুম মুক্তিযোদ্ধা মোকসেদুর রহমানের মরোনত্তোর মুক্তি যোদ্ধার স্বীকৃতির দাবি করেছেন তার পরিবারের সন্তানেরা। বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বাবার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চেয়েছেন তার পরিবারের সন্তানেরা।
মোকসেদুর রহমান বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন ও শিবপুর গ্রামের মৃত: রাহেন উদ্দীনের ছেলে। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তবে জীবিত থাকা কালিন সময়ে তিনি এই স্বীকৃতি থেকে অদৃশ্যকারনে বঞ্চিত থেকেই মৃত্যবরন করেন।
জানাগেছে তার মৃত্যুর পর ২০১৭ সালের জুন মাসে চিলমারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস থেকে মুক্তিযোদ্ধা এবং সহকারী মুক্তিযোদ্ধাদের সংশোধিত তথ্য জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে পাঠানো হয়। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাচাই কমিটির সুপারিশকৃত তালিকায় পুলিশ সদস্য মোকসেদুর রহমানের নাম রয়েছে। যার ডিজিআই নম্বর ১২১১৭৪৬। যা এপর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনাই:
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে মোকসেদুর রহমান কর্মস্থল ত্যাগ করে বিমান বাহিনীর সদস্য শামসুল হক মল্লিকের সঙ্গে চিতলমারী এলাকায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। দেশ স্বাধীনের পরে তিনি তার কর্মস্থল বরিশাল পুলিশ লাইনে পুনরায় যোগদান করেন। মোকসেদুর রহমান ছয় কন্যা এবং দুই পুত্র সন্তান রেখে ২০১৫ সালে মারা যান।
মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা নামক গবেষনা মূলক গ্রন্থের ৮১৭নং পৃষ্ঠের ক্রমিক নং ১১ এর কং নং- ২৩১ সম্পর্কে জানা যায়, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার শিবপুর গ্রামের রাহেন উদ্দিনের ছেলে মোকসেদুর রহমানের জন্ম ১৯৩১ সালে। তিনি ১৯৫২সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ লাইনে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তিনি বরিশাল পুলিশ লাইনে কনেস্টবল হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মারুফুল আলম বলেন, ২০১৭ সালে কমিটির সুপারিশে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে তার নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে; তাই জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের নতুন তালিকা প্রকাশের আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
’মোকসেদুর রহমানের ছেলে মুরাদুজ্জামান তুষার বলেন, ‘যুদ্ধকালীন সময় আমার পিতা বিমান বাহিনীর সদস্য শামসুল হকের সঙ্গে চিতলমারী এলাকায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। আমার পিতা একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত ভাবে আমরা বাবার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চাই।’ ০১৯১৭-৯৯৯০৯৮