টঙ্গীতে মঙ্গলবার তানজিনা ইসলাম টুম্পা (১৮) ও ফারজানা আক্তার (২০) নামে দুই যুবতী আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যার ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করছে টুম্পার পরিবারের লোকজন। পুলিশ উভয়ের লাশ উদ্ধার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য টুম্পার স্বামী মাইনুল ইসলাম টিটুকে (২৪) আটক করা হয়েছে।
নিহতের টুম্পার মা মমতাজ বেগম জানায়, স্থানীয় দত্তপাড়া আলম মার্কেট এলাকার বাসিন্দা তারা। প্রায় দেড় বছর আগে একই এলাকার সাকিব মৃধার ছেলে মাইনুল ইসলাম টিটুর সাথে তার মেয়ের বিয়ে হয়। এ সময় বিভিন্ন আসবাবপত্র ও স্বর্ণালংকার দেয়া হয় মেয়েকে। এতে সন্তষ্ট হতে পারেনি টিটু ও তার পরিবারের লোকজন। সামান্য দোষত্রুটি ধরেই তার মেয়েকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে তার স্বামী টিটু যৌতুক দাবি করতো। এ বিষয়ে টঙ্গী থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। পরবর্তীতে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে পর্যায়ক্রমে প্রায় ৬ লাখ টাকা দেয়া হয় টুম্পার স্বামীকে। মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে টিটুর মা মুঠোফোনে তাকে জানায় তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাদের বাসায় গিয়ে টুম্পাকে উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। টুম্পার স্বামী ও পরিবারের লোকজন আরও যৌতুক দাবি করলে আমার মেয়ে তা দিতে অস্বীকৃতি জানানোই কাল হলো। তারা আমার মেয়েকে মেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে টাঙিয়ে রেখেছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। আমি এ হত্যার সুষ্টু তদন্ত ও বিচার চাই।
অপরদিকে, গত তিন মাস পূর্বে তরিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের সাথে বিয়ে হয় ফারজানার। বিয়ের পর থেকে আমতলী এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস করে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই স্থানীয় একটি গামেন্ট কারখানায় চাকুরি করতো। মঙ্গলবার ভোর রাতে বাসার আড়ার সাথে গলায় ফাঁস পড়ে আত্মহত্যা করে সে। খবর পেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ উভয়ের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
টঙ্গী পূর্ব থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উভয় ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।