সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) সহকারী প্রকৌশলী প্রভাত সাহার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অগভীর সেচ লাইসেন্স বাতিল করে কৃষক হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার শিবপুর গ্রামের নবির উদ্দিন সেখের পুত্র অগভীর সেচ প্রকল্পের মালিক মোঃ আল-আমিন সেখ বুধবার সকাল ১১ টার দিকে রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগ সূত্রে জানাযায় সেচ প্রকল্পের মালিক কৃষক আল-আমিন শিবপুর মৌজার সরকার কর্তৃক স্থাপিত গভীর নলকূপটি স্থানীয় বিএডিসি কার্যালয় ১৭-১৮ বছর পূর্বে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করেন। গভীর নলকূপটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা কারায় অত্র এলাকার কৃষকগণ সেচ প্রকল্প পরিচালনায় চমর ভোগান্তি স্বীকার হন এবং খাদ্য শস্য উৎপাদনে চমর ব্যাঘাত ঘটে। খাদ্য শস্য উৎপাদন গতীশিল রাখতে উপজেলা সেচ কমিটি বরাবর বিদ্যুৎ চালিত অগভীর সেচ প্রকল্প পরিচালনার জন্য লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে সেচ কমিটি ২৯৫নং লাইসেন্স প্রদান করেন। লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের নীতিমালা অনুযায়ী সেচযন্ত্র স্থাপন করে কৃষি জমিতে সেচকার্য পরিচালনা করে আসছিল। এমতাবস্থায় অত্র মৌজার আবদুল খালেক গং বিএডিসি সহকারী প্রকৌশলীর সাথে আঁতাত করে পরিত্যাক্ত গভীল নলকূপটি মালিকানা দাবি করে সেচ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন। বিএডিসি প্রকৌশলী গত ০৯/১২/২০১৯ইং তারিখের ১৮১ নং স্মারকের মাধ্যমে পূর্বের ২৯৫ নং লাইসেন্স বাতিল করে আবদুল খালেক গংদের নামে পত্র জারি করে। ২৯৫ নং লাইসেন্সের সেচ মালিক প্রায় ২ মাস পরে (১২/০২/২০২০ইং তারিখে) পত্র প্রাপ্ত হয়ে লাইসেন্স পূনর বহলের জন্য উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ বরার আবেদন করে। কিন্তু সহকারী প্রকৌশলী আবদুল খালেক গংদের সাথে গোপন আতাতের মাধ্যমে চলমান সেচ প্রকল্পের কৃষকে অযথা হয়রানী করে আসছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করে। গভীর নলকূপ পরিত্যাক্ত ঘোষনা পত্র প্রাপ্তির জন্য ভুক্তভোগী কৃষক তথ্য অধিকার আইনে ১০/০৬/২০২০ইং তারিখে আবেদন করলেও সহকারী প্রকৌশলী তথ্য প্রদানে গরিমশি করছে বলে অভিযোগে জানাযায়। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) উদ্ধোতন কর্তৃপক্ষের জরীরু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।