ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিনই নতুন আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। শুক্রবারও তার ব্যতয় ঘটেনি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৫৮৬ জন নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন। একদিনে এত মানুষ এর আগে শনাক্ত হননি। এতে দেশে মোট কভিড আক্রান্ত হলেন ৩ লাখ ৮০ হাজার ৫৩২ জন। এ পর্যন্ত ভারতজুড়ে মোট ৬৪ লাখ ২৬ হাজার ৬৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। খবর এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার থাবায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩৩৬ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হল ১২ হাজার ৫৭৩ জনের। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৭৫১ জনের। রাজধানী দিল্লিতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৯৬৯ জনে। তৃতীয় স্থানে থাকা গুজরাটে মারা গেছেন ১ হাজার ৫৯১ জন। এরপর তালিকায় রয়েছে তামিলনাড়ু (৬২৫), পশ্চিমবঙ্গ (৫১৮), মধ্যপ্রদেশ (৪৮৬), উত্তরপ্রদেশ (৪৬৫) ও রাজস্থান (৩২৩)। ভারতে আক্রান্তেরও শীর্ষে মহারাষ্ট্র রাজ্য। এ রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৭৫২ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যটিতে মোট আক্রান্ত হলেন ১ লাখ ২০ হাজার ৫০৪ জন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ হাজার ৩৩৪ জন। তৃতীয় স্থানে থাকা দিল্লিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৭৯ জন। চতুর্থ স্থানে থাকা গুজরাটে মোট করোনা আক্রান্ত ২৫ হাজার ৬০১ জন। এ ছাড়া উত্তরপ্রদেশে ১৫ হাজার ১৮১ জন, রাজস্থানে ১৩ হাজার ৮৫৭জন, পশ্চিমবঙ্গে ১২ হাজার ৭৩৫ জন ও মধ্যপ্রদেশে ১১ হাজার ৪২৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি আক্রান্তদের সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত দেশে ২ লাখ ৪ হাজার ৭১১ জন সুস্থ হয়েছেন। এদিকে দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাইসহ বেশি সংক্রমিত দেশের বড় শহরগুলোর দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। দ্রুত অ্যান্টিজেন পদ্ধতির মাধ্যমে পরীক্ষা শুরু করে কভিড-১৯ নির্ণয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে ওই শহরগুলোতে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল বা আইসিএমআর অনুমোদিত নতুন র্যাপিড অ্যান্টিজেন মেথোডলজির মাধ্যমে কভিড-১৯ পরীক্ষা আরও ভালভাবে করা সম্ভব হবে। এটি পরীক্ষার রোগ নির্ণয় ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে এবং এর ফলে প্রাথমিক স্তরেই রোগ নির্ণয় করা যাবে ও রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া যাবে। এতে মৃত্যুহার এড়ানো যাবে আশানুরূপভাবে।