গত সপ্তাহে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জেরে কূটনৈতিক-সামরিক পর্যায়ে টানা বৈঠকের পরেও সীমান্তে উত্তেজনা কমেনি চীন-ভারতের মধ্যে। বরং দু’পক্ষই চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর সামরিক শক্তি বাড়িয়ে চলেছে। শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, চীন সীমান্তবর্তী ঘাঁটিগুলোতে আরও যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে ভারত। পাশাপাশি, বর্ধিত বঙ্গোপসাগর এলাকায় রণতরিগুলোকেও তৈরি রাখা হয়েছে। লাদাখে অত্যাধুনিক অ্যাপাচে হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে ভারত, যাতে রয়েছে ট্যাংকবিধ্বংসী মিসাইল ও রকেট। এছাড়া, দুর্গম অঞ্চলে সৈন্য পরিবহনে চিনোক হেভি-লিফট হেলিকপ্টারও পাঠানো হয়েছে সেখানে। থেমে নেই চীনও।
দেশটির পিপলস লিবারেশন আর্মিও (পিএলএ) সেনা সরঞ্জাম বাড়াচ্ছে ভারত সীমান্তে। তারা প্যানগং লেকের উত্তর তীর বরাবর কয়েক ডজন ঘাঁটি বসিয়েছে। এছাড়া, তিব্বতের হোতান ও কাশগার বিমানঘাঁটিতে অত্যাধুনিক জে-১১ ও জে৮ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে বেইজিং। জবাবে এর সম্মুখবর্তী ঘাঁটিগুলোতে সুখোই-১৩এমকেআই, মিগ-২৯ ও জাগুয়ার ফাইটার বিমান পাঠিয়েছে ভারত। চীনের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের লেহ, শ্রীনগর, অবন্তীপুর, বারেলি থেকে উত্তর-পূর্ব সীমান্তের তেজপুর, চাবুয়া ও হাসিমারা অঞ্চলের সব বিমানঘাঁটিকে সক্রিয় করেছে দেশটি।গত সোমবার রাতে গালওয়ান উপত্যকায় ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন চীন ও ভারতের সেনারা। এতে ভারতের অন্তত ২০ সেনা নিহত ও ৫৮ জন আহত হন।
চীন কোনও তথ্য নিশ্চিত না করলেও ভারতের দাবি, সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের অন্তত ৪৫ জন হতাহত হয়েছেন। এরপর থেকেই চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে ওই এলাকায়। শান্তিপূর্ণভাবে এ সমস্যা সমাধানে কয়েক দফায় বৈঠক হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে। তবে এখন পর্যন্ত উত্তেজনা কমার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।