ঝিনাইদহে অপহৃত গৃহবধুকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গৃহবধুর স্বামী রনী সাহা বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় জুয়েল রায়কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়া এলাকায়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়া এলাকার তপন সাহার ছেলে রনী সাহা বিগত একযুগ আগে সনাতন ধর্মীয় বিধি মোতাবেক মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার রাধানগর গ্রামে এক নারীর সাথে বিয়ে হয়। ঘর সংসার করাকালীন সময়ে তাদের গর্ভে দুটি সন্তানের জন্ম হয়। দিনাজপুর সদর উপজেলার সুন্দরবন গ্রামের প্রভাষ চন্দের ছেলে জুয়েল রায় (২১) বর্তমানে ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়া এলাকার ইস্কোন মন্দিরে বসবাসরত এবং সে ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষে বোটানি ডিপার্টমেন্টে অধ্যায়নরত। ইস্কোন মন্দিরে যাওয়া আসার এক পর্যায়ে জুয়েল রায় তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরই এক পর্যায়ে তাকে বাড়িতে একা পেয়ে গত ১৪ জুন রোববার তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় বাদী রনী সাহার ঘরে থাকা ১৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৬৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
গৃহবধুর স্বামী রনী সাহা আক্ষেপ করে বলেন, একযুগ ধরে সংসার করার পর স্বামী সন্তানের কথা ভুলে যেয়ে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে তার স্ত্রী। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ধর্মের নামে শিক্ষার কথা বলে শহরের চাকলা পাড়ায় অবস্থিত ইস্কোন মন্দিরে থাকা কতিপয় যুবকেরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বয়সী নারীদেরকে সুকৌশলে ফুসলিয়ে তাদের ব্যবহার করে আসছিল। যেমনটি করেছে আমার স্ত্রীকে নিয়ে। এতে করে আমার একযুগ ধরে সাজানো সংসার ভেঙেচুরে চুরমার হয়ে গেছে।
এঘটনায় অপহৃত গৃহবধুর স্বামী রনী সাহা প্রেমিক জুয়েল রায়কে আসামী করে অপহরণ মামলা করে। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই পলাসুর রহমান বলেন, থানায় এজাহারের পর আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দিনাজপুরে গিয়ে শুক্রবার আসামী জুয়েল রায়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই এবং অপহৃত গৃহবধুকে উদ্ধার করি। শনিবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরন করি। পুলিশের এই দুরদর্শীতাকে সাধুবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।