জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি এখনো অপরিবর্তিত রয়েছ। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি ১সেন্টিমিটার কমে বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বেড়েছে ব্রহ্মপুত্রসহ শাখা নদীর পানি।পানিবন্দী হয়ে পড়েছে জেলার ৭টি উপজেলার প্রায় ৩ লাখেরও বেশি মানুষ।
যমুনার পানি ১ সেন্টিমিটার কমলেও ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাইসহ শাখা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছ। নতুন করে জামালপুর সদরের তুলশিরচর, লক্ষীরচর এবং মাদারগঞ্জের চরপাকেরদহ ও কড়ুইচুরা ইউনিয়ন বন্যা প্লাবিত হয়েছ। সবমিলিয়ে ৭ উপজেলার ৪২টি ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৩ লাখেরও বেশি মানুষ। পানি উঠায় বন্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন স্থানীয় ও আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। সেইসাথে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ১০ হেক্টরের বেশি জমির ফসল। পানিবন্দী অবস্থায় দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত দুর্গত এলাকায় ৬০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা বিতরন করা হয়েছ।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সাইদ বুধবার সকাল ১০ টায় জানান, যমুনার পানি বিপদসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার উপর এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ১৫.৬৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে”।