জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতি হলেও দূর্ভোগে রয়েছে বানভাসি মানুষ। গত রোববার (৫জুলাই) ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি ২০ সেন্টিমিটার কমে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৭সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্রসহ শাখা নদ-নদীর গুলির পানি এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন,জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সাইদ এবং পানি মাপক গেজ পাঠক আবদুল মান্নান।
জামালপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে জেলার ৭টি উপজেলার ৬৮ইউনিয়নের মধ্যে ৪৯ টি ইউনিয়নে ৩৪৯টি গ্রাম ও ৮টি পৌরসভার প্রায় ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৪৯ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় ৩১টি আশ্রয় কেন্দ্রে মোট ৬ হাজার ৯৪ জন আশ্রয় নিয়েছে। বন্যায় ৮৮হাজার ৪২৩ টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে ও সাপের কামড়ে এখন পর্যন্ত জেলায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া বন্যা কবলিত এলাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে ৪৯ টি মেডিক্যাল টিম মাঠে কাজ করছে বলে জানান।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসার বিভাগ জানায়, এবারের বন্যার পাট, আমনের বীজতলা, আউস ধান, শাক সবজিসহ অন্তত ১৩ হাজার ৩৪৩ হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পূণঃবাসন কর্মকর্তা নায়েব আলী জানিয়েছে, জেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৫৩৪ মেট্রিক টন চাল ও নগদ সাড়ে ১৩ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেজ শুকনো খাবার বিরতণ করা অব্যাহত রয়েছে।
ইসলামপুরের স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ ফরিদুল হক খান দুলাল দিনব্যাপী ইসলামপুর কুলকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকা প্রায় ৫ শত পরিবারের মাঝে ১০কেজি করে ত্রানের চাল ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরন করেছেন।এসময় তার সাথে ছিলেন,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জামাল আব্দুন নাছের বাবলু,ভাইস চেয়ারম্যন আবদুল খালেক আকন্দ,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস ছালামসহ আ.লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মী সমর্থকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।