‘করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সম্মিলিতভাবে আমরা আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ও নির্ধারিত বুথে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। নমুনা সংগ্রহের জন্য ইতিমধ্যেই বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স ও তালাইমারি আদর্শ স্কুলে পৃথক দুইটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহে আরো একটি বুথ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। করোনায় আক্রান্তদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখা এবং তাদের খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। মহানগরীতে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় সে বিষয়ে কী করণীয় বিষয়ে কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) দুপুরে নগর ভবনের সিটি হল সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে মেয়র বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণের শুরুতেই জনসচেতনতা সৃষ্টি, বাস চলাচল বন্ধসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল। যার ফলে দীর্ঘদিন রাজশাহী সিটি করোনামুক্ত ছিল। কিন্তু গত পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে মানুষের আগমনের পর এ শহরের করোনা পরিস্থিতির সংক্রমন শুরু হয়। যেটি বর্তমানে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
আগামী ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে পশুর হাটে বিপুল মানুষের সমাগম ঘটবে। পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে ও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সভা থেকে করোনা নিয়ন্ত্রণে মহানগরবাসীকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, মাস্ক ব্যবহার করাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান মেয়র।
সভা মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা এবং স্বাস্থ্যরক্ষা ব্যবস্থা স্থায়ী কমিটির সভাপতি ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নুরুজ্জামান টুকু, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা.এবিএম শরীফ উদ্দিন। সভায় করোনা বিষয়ে রাসিকের সার্বিক কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম। সভায় সভায় রাসিকের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা।