লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের সাটিফিকেট সহকারী আলাল হোসেনের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই কলেজছাত্রী ইউএনওথর নিকট লিখিত অভিয্গো করেছে।
অভিযোগ তুলে নিতে বাদীকে নানান ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তার অভাবে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ওই কলেজ ছাত্রী।
অভিযোগে জানাগেছে, সাটিফিকেট সহকারী আলাল হোসেন পাটগ্রামে দুই বছর পূর্বে সরকারী চাকুরীতে যোগদান করেন। চাকুরীতে যোগদানের ১০ বছর আগে বিয়ে করে আলাল। বিয়ের কথা গোপন করে আলাল হোসেন পাটগ্রামের পানবাড়ীর মৃত মুক্তিযোদ্ধার কলেজ পড়ুয়া কন্যার সাথে প্রেম শুরু করে। ওই কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করবে এই প্রলোভন দিয়ে সরকারী কোয়াটারে তাকে একাধিকবার ধর্ষন করে। এমনকি ওই কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করবে বলে তার অফিস ও এলাকাতেও প্রচার করে। বিষয়টি উপজেলা পরিষদ চত্বরে জানাজানী হলে পুরো ঘটনা ফাসঁ হয়ে পড়ে। এরপরেও আলাল হোসেন ওই কলেজ ছাত্রীকে কয়েকদিনের মধ্যে বিয়ে করার কথা বলে আবারও দৈহিক সম্পর্কে মিলিত হয়। বিষয়টি আলালের স্ত্রী জানার পর অফিস কোয়াটারে আসে এবং ওই কলেজ ছাত্রীকে নানান ভাবে হুমকি দেয়। পরে আলাল কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করে।
ধর্ষনের শিকার কলেজছাত্রী জানান, আলাল তার প্রথম বিয়ের কথা গোপন করে আমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং আমাকে বিয়ে করার কথা জানান। এখন সে আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে। পরে বাধ্য হয়ে আমি ইউএনও সারের নিকট লিখিত অভিযোগ দেই। এখন সে আমাকে অভিযোগ তুলে নিতে নানান ভাবে হুমকী প্রদান করছে। তাই আমি নিরাপত্তা অভাবে বর্তমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আলাল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমাকে ফাঁসানোর চেস্টা করছে। তাই ওই কলেজছাত্রী পাটগ্রাম উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার (ইউএনও)নিকট বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও স্যার তাকে শোকজ করে।
এ ব্যাপারে পাটগ্রাম উপজেলা নিবার্হী কর্মকতা (ইউএনও) জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, ইউএনও বিষয়টি তাকে জানিয়েছে। তদন্ত চলছে, তদন্ত রিপোর্ট পেলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।