কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, চিকিৎসক, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও তার দুই শিশু সন্তান, ৩ ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মাত্র ২৯ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে ২০ জনের করোনা পজিটিভ হওয়ায় উপজেলা জুড়ে নতুন করে করোনা আতঙ্ক শুরু হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ তৈয়েবুর রহমান জানান, গত ১০ জুলাই করোনা পরীক্ষার জন্য ২৯ জনের নমুনা ল্যাবে পাঠানো হয়। এর মধ্যে রোববার (১২ জুলাই) ২০ জনের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। নতুন করে করোনায় আক্রান্তরা হলেন, উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের মহৎপুর গ্রামের শেখ আবদুর রশিদ’র ছেলে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ নাজমুল আহসান (৪০), বাজারগ্রামের মৃত আতাহারের ছেলে মোহাম্মদ আবদুল কাদের (৫৮), বাজারগ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণকারী মাওলা বক্স’র স্ত্রী রহিমা খাতুন (৩৮), তার ছেলে মাহিম হোসেন (১৫), স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক আবুল কাশেম (৪৮), নলতা জেনারেল ও চক্ষু হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ ও নলতা এলাকায় বসবাসকারী ডা. তাহমিনা পারভীন (৩৪), তার ছেলে তাসওয়াপ (১২), তাহিয়ান (১), মথুরেশপুর ইউনিয়নের শীতলপুরে বসবাসকারী স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এর রিপ্রেজেন্টেটিভ মোহাম্মদ সামিউল ইসলাম (৩৫), শীতলপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আকবর হোসেন (৪৫), তার ছেলে রাফি হোসেন (১৮), ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড কালিগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা শমসের আলী (৫০), শরিফুল ইসলাম (৪৮), খলিলুর রহমান (৪৭), উপজেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য পরিদর্শক একেএম মনজুর কাদের (৫৭), অফিস সহকারী মাহবুবুর রহমান (৪০), নলতা ইউনিয়নের গোবিন্দ সরকারের ছেলে হারান সরকার (৩৯), একই এলাকার প্রফুল্ল স্বর্ণকারের ছেলে প্রসাদ স্বর্ণকার (৬৫), আবুল কাশেমের স্ত্রী রুহিনা তাসনিম (৫০), এমএম আনোয়ার হোসেনের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম (৩৭)। আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে প্রশাসন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আরও জানান, এ পর্যন্ত উপজেলায় ৫২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭০ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ হয়েছে আর সুস্থ হয়েছেন ২৫ জন।