বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে জামানত হারালেন চার প্রার্থী। তারা হলেন- জাতীয় পার্টির মোকসেদুল আলম (লাঙ্গল), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) মোহাম্মদ রনি (বাঘ), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নজরুল ইসলাম (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ (ট্রাক)। এ উপ-নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ালেও ধানের শীষ প্রতীকে ভোট পড়ছে ৬৬৪টি।
গত মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে বগুড়া-১ আসনের ১২৩টি কেন্দ্রের ৭১০টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হয়। তিন লাখ ৩০ হাজার ৮১৮ ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে এক লাখ ৫০ হাজার ৭৪৬টি। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে এক হাজার ৩১৫টি। মোট বৈধ ভোট এক লাখ ৪৯ হাজার ৪৭১টি। শতকরা ভোট পড়েছে হয়েছে ৪৫ দশমিক ৫৭ ভাগ।
জেলা নির্বাচন অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) সাহাদারা মান্নান পেয়েছেন এক লাখ ৪৫ হাজার ২৯৫টি। জাতীয় পার্টির অধ্যক্ষ মোকছেদুল আলম (লাঙ্গল) পেয়েছেন এক হাজার ২৫১ ভোট, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) মোহাম্মদ রনি (বাঘ) পেয়েছেন ১৮২টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নজরুল ইসলাম (বটগাছ) পেয়েছেন ৪৭৪ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ (ট্রাক) পেয়েছেন এক ৫৬৩ ভোট। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী এ কে এম আহসানুল তৈয়ব জাকির নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ালেও তার ধানের শীষ প্রতীকে ভোট পড়েছে ৬৬৪টি।
জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম শাহ্ জানান, প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে বিধি অনুযায়ী ওই প্রার্থীর জামানত বাতিল হয়ে যায়।
উল্লেখ্য যে, বগুড়া-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ আবদুল মান্নান গত ১৮ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে আসনটি শুন্য হয়। পরে শুন্য আসনে নির্বাচনের জন্য ২৯ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করা হয়। করোনার কারণে নির্বাচন স্থগিত হলে পরে উপ-নির্বাচনের তারিখ ১৪ জুলাই পুনর্র্নিধারণ করে নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপন জারি করে।