লালমনিরহাটে তিস্তা, ধরলা নদী ও সানিয়াজান ব্রীজের নিচে থেকে দুই দিনে ৩টি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার(১৮ জুলাই) দুপুরে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ এলাকার তিস্তা নদী থেকে, বিকালে পাটগ্রামে ধরলা নদী থেকে ও রাতে হাতীবান্ধার সানিয়াজান ব্রীজের নিচ থেকে লাশ গুলো উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই ৩টি লাশের মধ্যে একটি লাশের পরিচয় জানা গেলেও বাকি দুইটি লাশের পরিচয় শনিবার পর্যন্ত জানা যায়নি। মরদেহ গুলো লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের সানিয়াজান ব্রীজের পাশে বালু চরে একটি লাশ মাটি থেকে খুঁড়ে বের করার চেষ্টা করছে বেশ কয়েকটি কুকুর। কুকুরের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে দেখতে পায় বালুতে চাপা রয়েছে একটি মরদেহ। পরে হাতীবান্ধা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুড়ে লাশটি উদ্ধার করে।
লাশ উদ্ধারের পরে পুলিশ ওই যুবকের পরিচয় সনাক্ত করেন। ওই যুবকের নাম একরামুল হক (৩০)। সে ফকিরপাড়া রমনীগঞ্জ এলাকার ওয়াজ আলীর পুত্র এবং আট দিন ধরে সে নিখোঁজ ছিল।
একরামুলের জেষ্ঠা তোয়াজ উদ্দিনের অভিযোগ, তার ভাতিজাকে হত্যার পর লাশ মাটিতে পুতিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে ওই এলাকার নুর হাই নামে এক ব্যক্তি জড়িত এমন দাবী তার।
অপর দিকে, লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছা ইউনিয়নে তিস্তা নদী থেকে আনুমানিক ৩২ বছর বয়সী এক নারী ও পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নে ধরলা নদী থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রতিটি লাশের ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।