সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে যাচ্ছেন বাণিজ্যিক ধারার সফল যুগল নির্মাতা ইস্পাহানি আরিফ জাহান। কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকের ‘হৃদিতা’ উপন্যাস অবলম্বনে ছবি নির্মাণের জন্য ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সাধারণ শাখায় ৫৫ লাখ টাকা অনুদান পাচ্ছেন তারা। এরইমধ্যে ছবিটি নিয়ে বেশ আলোচনা শোনা যায়। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই পরিচালকদ্বয়ের ভক্ত-অনুরাগীরা ছবিটি নিয়ে খুবই আগ্রহী। অনেকেই বলছেন ‘হৃদিতা’ মূলত ইস্পাহানি আরিফ জাহানের ‘ড্রিম গার্ল’ ছবিটিই। যেখানে জুটি হয়ে কাজ করছেন রোশান ও অধরা। তবে পরিচালকদ্বয় জানান, ‘এই ধারণা বা তথ্যটি ঠিক নয়। ‘হৃদিতা’ ও ‘ড্রিম গার্ল’ আলাদা দুটি ছবি। প্রথমবারের মতো সরকারি অনুদান পেয়েছি। চেষ্টা করবো সরকার যে ভরসায় জায়গাটি দিয়েছে তার সঠিক মূল্যায়ণের।’ ছবিটি নিয়ে নির্মাতা ইস্পাহানি বলেন, ‘এই মুহূর্তে প্রায় কোনো কিছুই শুরু করিনি। চিত্রনাট্যের কাজ গুছিয়ে নিচ্ছি। করোনার পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হলে ঈদের পর ছবিটি নিয়ে মাঠে নামবো। আমি আনিসুল হক সাহেবের অনেক গল্প পড়েছি। কিন্তু ‘হৃদিতা’ পড়ে মনে হয়েছে এটি দারুণ একটি চলচ্চিত্র হবে। সেই চেষ্টাই করছি।’ ছবিতে নাম ভূমিকায় বিদ্যা সিনহা মিম, পূজা চেরী, পরীমনির নাম শোনা যাচ্ছে। তবে কেউই নিশ্চিত নন বলে নিশ্চিত করলেন এই নির্মাতা। তিনি সংবাদমাধ্যেমকে বলেন, ‘যাদের নাম আলোচনায় এসেছে কেউই আসলে ছবিটিতে থাকছেন কী না তা নিশ্চিত নয়। চরিত্রটি যার সঙ্গে পারফেক্টলি যাবে, যাকে মানাবে এবং যিনি কাজটি আগ্রহ নিয়ে করবেন এমন কাউকেই চাইছি। তার বিপরীতে থাকবেন দর্শকপ্রিয় কোনো নায়ক। এখনো কারো সঙ্গে সেভাবে আলোচনা হয়নি। আগে নিজেদের হোম ওয়ার্ক শেষ করে নিই। তারপর শিল্পীদের নাম জানাবো। এখনই অগোছালোভাবে কারো নাম বলে সমালোচনার জায়গা তৈরি করতে চাই না।’ তিনি আরও বলেন, ছবিটি সরকারি অনুদানে ৫৫ লাখ টাকা পাবে। কিন্তু একটি সিনেমার জন্য এ টাকাই চূড়ান্ত নয়। তাই ‘হৃদিতা’র জন্য আরও টাকা ম্যানেজ করে কাজ করতে হবে। সেই টাকা ম্যানেজ করারও চেষ্টা করছেন ইস্পাহানি আরিফ জাহান। প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে ‘বিদ্রোহী বধূ’ নির্মাণের মাধ্যমে পরিচালনায় আসেন ইস্পাহানি আরিফ জাহান। এরপর লাট সাহেবের মেয়ে, শত্রু ধ্বংস, আমাদের সন্তান, আসলাম ভাইসহ একাধিক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন তারা। পরিচালনায় পাশাপাশি প্রযোজনাও করেছেন তারা। তাদের মুক্তিপ্রাপ্ত শেষ দুটি ছবি গুণ্ডা দ্য টেররিস্ট (২০১৫), নায়ক (২০১৮)।