পাবনার চাটমোহরে বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট,রোপা আমন বীজতলাসহ ফসলের জমি। প্লাবিত হয়েছে বাড়ি-ঘর। উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। ভারী বর্ষন ও উজান থেকে ঢলের পানি নেমে আসায় বড়াল,গুমানী ও চিকনাই নদীর পানি বেড়েছে। তলিয়ে গেছে শতাধিক পুকুর। মৎস্য চাষীরা নেট জালের ঘের দিয়ে পুকুরে মাছ ভেসে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে হিমশিম খাচ্ছে। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল,ছাইকোলা,নিমাইচড়া,বিলচলন ইউনিয়নের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে প্লাবিত। করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের বানের পানির মধ্যে স্কুলে আসতে হচ্ছে না। গ্রামের রাস্তাগুলো এখন পানির নিচে। ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এ সকল ইউনিয়নের অধিকাংশ রোপা আমন ধান ও বীজতলা পানির মধ্যে তলিয়ে গেছে। বিল অংশে হাবুডুবু খাচ্ছে বোনা আমন ধান। অতি বর্ষণে চাটমোহর পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল ইসলাম জানান,এখনও ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়ের তালিকা পাওয়া যায়নি। তবে অনেক স্কুল প্লাবিত হয়েছে। নিমাইচড়া ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খোকন জানান,তার ইউনিয়নে ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়,২টি উচ্চবিদ্যালয় প্লাবিত। হান্ডিয়াল ইউপি চেয়ারম্যান কে এম জাকির হোসেন জানান,তার ইউনিয়নের প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই পানি উঠেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার মোহাম্মদ রায়হান জানান,উপজেলার হান্ডিয়াল,ছাইকোলা,নিমাইচড়া,পাশর্^ডাঙ্গা ও হরিপুর ইউনিয়ন বন্যা কবলিত। আমরা প্রতিটি ইউনিয়নে ১৪শ’ ভিজিএফ কার্ড দিয়েছি। বন্যার্তদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সহায়তা দেওয়ার হবে। তাছাড়া ইউপি চেয়ারম্যানরা বন্যা দূর্গতদের তালিকা দিলে সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।