জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে অলৌকিক আগুন না শত্রুতার আগুন! দুই সহদরের বাড়ীপুড়ে প্রায় দুইলক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এলাকায় গুনজন জনমনে আতংঙ্ক বিরাজ করছে। পরিবারের লোকজনের অনুপস্থিততে বাড়ীতে আগুন লেগে ৪টি ঘরের আসবাবপত্র সহ সব কিছু পুড়ে ছাই হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার তেলাল মুরারীপুর গ্রামে আবদুল আজিজ খান ও রবিউল ইসলামের বাড়ীতে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সন্ধ্যার আগে আবদুল আজিজ খান ও রবিউল ইসলামের বাড়ী টিনের ছাউনি দোতলা ঘরের উপরে আগুনের ধূঁয়া দেখতে পেয়ে প্রথমে গ্রামের লোকজন ওই আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। ঘন বসতীপূর্ন হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে স্থানীয় লোকজন অবশেষে জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিস অফিসে খবর দিলে দ্রূত তারা ঘটনাস্থলে এসে ঘন্টা ব্যাপী চেষ্টা করে আগুন নেভাতে সমর্থ হয়।
আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের আবদুল আজিজ খান বলেন, আমাদের বাড়ীতে কিছু আজব ঘটনা ঘটতে দেখাগেছে। বাড়ীতে রাখা কোন জিনিসপত্র নিদিষ্ট যায়গায় রাখলে তা সড়েগিয়ে অন্য যায়গায় থাকত। কাপড় চোপড় রাখলে তাতে হঠাৎ করে আগুন লেগে যেতো। অনেক সময় দোতলার উপরে কেউ ঘোড়াফেরা করছে, উপরে গিয়ে দেখি কেউ নাই। এমন অবস্থা চলতে থাকে গত ছয় মাস যাবৎ। কালকে বেলা ৩ টায় আমরা কেউ বাড়ীতে ছিলাম না মেয়েরা বাহিরে খেলছিল। আমার স্ত্রী ও মা মাঠের দিকে গিয়েছিলাম। ছোট ভাই রবিউল ও তার স্ত্রী বাড়ীতে ছিল। তবে আগুন লাগার সুত্র জানা যায়নি। ৪টি ঘরে যা ছিল তার সবই পুড়ে গেছে। এতে প্রায় আড়াই থেকে তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অপরদিকে রবিউল ইসলাম বলেন, ওইদিন মেয়েকে নিয়ে ঘড়ের ভিতর শুয়ে আছি। আমার স্ত্রী কাপড় কাঁচতে বাড়ির বাহিরে গিয়েছে। এমন সময় পটপট শব্দশুনতে পেয়ে ঘড়ের বাহিরে এসে দেখি দোতলার উপরে বিকট শব্দ আর দাউ-দাউ করে আগুন জ¦লছে। এই অবস্থা দেখে দৌঁড়ে বাহিরে গিয়ে চিৎকার দিলে লোকজন ছুটে এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে তাতে তেমন কোন লাভ হয় না। অতটা উপড়ে পানি উঠানো সম্ভব হচ্ছে না। আগুন কী ভাবে লেগেছে তার সুত্র এখনও জানা যায়নি।
এবিষয়ে জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর সিরাজুল ইসলাম বলেন, বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্র হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে সময়মত আগুন নিয়ন্ত্রণ না হলে ওই গ্রামে বড় ধরনের দূর্ঘটনার সম্ভাবনা ছিল।