সরকারের মতে পবিত্র ঈদণ্ডউল আযহা আগামী শনিবার। এই ঈদের হালাল পশুর রান্নার জন্য অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে মসলা। কোরবানির পশু ক্রয়সহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক বাজার শেষে সকলেই এখন মসলার বাজারের দিকে মন দিয়েছেন। ঈদকে সামনে রেখে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় বিভিন্ন হাট-বাজারে গরম হয়ে উঠেছে মসলার বাজার। এরইমধ্যে ধুম পড়েছে মসলা বাজারে কেনা-বেচার। অন্য বছরগুলোতে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মসলার বাজার চড়া থাকলেও এবারের মসলা বাজার স্থিতিশীল। তবে পাইকার ব্যবসায়ীরা জানান, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি এবং করোনাভাইরাসের কারণে বাজারে ক্রেতারা কম থাকায় কিছুটা কমে গেছে সবরকম মসলার দাম। কোরবানির ঈদ ছাড়াও প্রতিবছর বিয়ে, ওরশ, মেজবান ইত্যাদির জন্য বাজারে মসলার চাহিদা থাকে ব্যাপক। কিন্তু করোনাভাইরাসের ফলে প্রায় সবরকম আয়োজন বন্ধ। ফলে মজুদকৃত মসলা অনেকটাই অবিক্রিত রয়ে গেছে। করোনার কারণে এবার মসলার বাজারে কোরবানির আমেজ নেই বললেই চলে।
বুধবার সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে জানা গেছে, কোরবানি দাতারা হালাল পশু কেনার শেষ মুহুর্তে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে এখন গরম মসলার বাজারে মসলা কিনছেন। মানভেদে প্রতি কেজি বস ৩শ টাকা,দারুচিনি (চীন) প্রতি কেজি ২৯০ টাকা, জিরা(ভারতীয়) প্রতি কেজি ৩শ টাকা, প্রতি কেজি তেজপাতা ১৮০ টাকা,প্রতি কেজি সাদা-এলাচ ১২শ টাকা। প্রতি কেজি কালো-ফল ৮শ টাকা। প্রতি কেজি কালো গোলমরিচ ৬শ টাকা, প্রতি কেজি লবঙ্গ ৯শ টাকা, প্রতি কেজি ধনে ২শ টাকা। প্রতি কেজি রসুন (চীন) ৮০ টাকা, প্রতি কেজি রসুন (দেশী) ১শ টাকা, প্রতি কেজি পিঁয়াজ(দেশী) ৪০টাকা, প্রতি কেজি পিঁয়াজ(ভারতীয়) ২৪টাকা, প্রতি কেজি আদা(চীন) ১২০ টাকা, প্রতি কেজি আদা(দেশী) ১৫০ টাকা, প্রতি কেজি হলুদ ১৮০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে প্রতি কেজি শুকনা মরিচ ২শ টাকা আর প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার কোরবানি দাতারা জবাইকৃত হালাল পশুর গোস্ত রান্নার জন্য এবং সংসারের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের মসলা কিনছেন। নির্দিষ্ট মসলার দোকান ছাড়াও এই সুযোগে মৌসুমী ভ্রাম্যমান দোকানগুলোতে গরম মসলা বিক্রি করছেন। আর এই কোরবানি ঈদের শেষ মুুহর্তে এসে ওই সব মসলার দোকান থেকে বিভিন্ন ধরনের গরম মসলা ক্রয় করছেন তারা।
উপজেলার মাত্রাইহাটে মসলা বিক্রেতা রবিউল ও ফরিদুল বলেন, বাজারে সব জিনিসের দাম কম। কোন কিছুর দাম বাড়তি নেই। কোরবানির বাজারে সব মসলাপণ্যের দাম কমেছে। আবার একইসাথে নতুন পণ্যও বাজারে আসেছে। এখনো আগের মসলাগুলো অবিক্রীত রয়ে আছে। এ ছাড়া করোনা পরিস্থিতির কারণে এমনিতে বিয়েশাদি, মেজবানসহ গরম মসলা ব্যবহৃত হয় এমন সামাজিক অনুষ্ঠান হচ্ছে না, উপজেলার বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্ট প্রায় বন্ধ, সে কারণে মসলার বাজারে এখন মন্দা চলছে। এবার কোরবানিতেও মসলার বাজারে তেমন কোনো চড়া মূল্য নেই। করোনা পরিস্থিতিতে সব কিছুর মত মসলার বাজারেও প্রভাব ফেলেছে।
মসলা কিনতে আসা কালাইহাটে মো. মাহমুদুন নবী নাহিদ ও বেলাল হোসেন জানান, এই ঈদে সেই সব কিছুর সঙ্গে থাকে কোরবানির গোস্ত। আর গোস্ত রান্না করতে অপরিহার্য হচ্ছে মসলা। ঈদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেই তারা এখন মসলা কিনতে এসেছেন। তবে বেশিরভাগ মসলার দামই সহনশীল আছে তারা জানান।