নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ২নং কেশারপাড় ইউনিয়নের খাজুরিয়া আছিরা খাতুন উচ্চবিদ্যালয়ের সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ খলিলুর রহমানকে মারধর, শ্বাস রোধ করে হত্যার চেষ্টা এবং অফিস কক্ষের জাতীর জনক শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর এবং লুটপাটের ঘটনায় অভিযুক্ত বিদ্যালয়ের সাবেক সদস্য একই এলাকার এমাম হোসেন মজুমদার (৪০) ও তার ভাই মিন্টু মজুমদার (৩৫ কে গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে সেনবাগের খাজুরিয়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে এলাকাবাসী।
বুধবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ওই বিক্ষোভ শিছিল ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন,বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আবুল হোসেন মজুমদার, নুর নবীর মজুমদার,বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য আনোয়াল হোসেন লিটন, রাশেল আহমেদ,সুলতান আহমেদ মজুমদার,এমদান উল্লাহ সুমন ও মহিন উদ্দিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য ঃ মঙ্গলবার ৪ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিদ্যালয়ের পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য বিদ্যালয়ে এসে অফিস কক্ষে বসেন বিদ্যালয়ের সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ খলিলুর রহমান। এ সময় তিনি শিক্ষক সহ অন্যাণ্যদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় অতর্কিতে বিদ্যালয়ের সাবেক সদস্য এমাম হোসেন মজুমদার ও তার ভাই মিন্টু মজুমদার অফিস কক্ষ থেকে তাকে টেনে হেসড়ে বিদ্যালয়ের মাঠে নিয়ে গিয়ে এলোপাথাড়ী পিটিয়ে ও কিলঘুষি মেরে আহত করে। যার একপর্যায়ে এমাম তার গলায় দুই হাত দিয়ে চেপে ধরে শ্বাষ রোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায় এবং তার ভাই পায়জামার পকেটে থাকা একলক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তার আত্মচিৎকারে শিক্ষক সহ এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে সেনবাগ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান। শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে হামলা চালিয়ে জাতির জনকের ও শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লুটপাট করে ও রেজুলেশন খাতা সহ অন্যন্য কাগজপত্র ছিড়ে পেলে দেয়।
এব্যাপারে যোগাযোগ করলে সেনবাগ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ(ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,এঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।