ভৈরবে সড়কের পাশে ময়লা-আবজর্না ফেলে ও কয়লার স্তুপ দেওয়ায়এবং ধানের মিলের কুড়া বাতাসে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষণ ও নানা ধরণের রোগ জীবাণু ছড়িয়ে জনস্বাস্বাস্থ্য মারাত্নক হুমকির মুখে পড়েছে। বিপযর্স্ত হয়ে পড়েছে জন-জীবন। তাই আগামী ৭ দিনের মধ্যে ময়লা আবর্জনা পরিস্কার ও মজুদকৃত কয়লা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে স্থানীয় জনতা মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে।
ভৈরব পৌর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ও বাসা-বাড়ির ময়লা-আবজর্না পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা সংগ্রহ করে শহরের প্রবেশ মুখ ভৈরব শহর রক্ষা বাধের সড়কের পাশে প্রতিদিন শত শত মণ ময়লা-আবজর্না ফেলছে। এতে করে দীর্ঘদিন ধরে ফেলা ময়লা-আবর্জনার স্তুপে মশা-মাছি র্সষ্টি হয়ে বিভিন্ন রোগ জীবাণু ছড়ানোর পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ হয়ে এলাকার ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ শ্বাস কষ্ট,নিউমোনিয়া,হাপানি ও স্কীনের বিভিন্ন রোগে ভোগছে। শুধু ময়লা-অবজর্নাই নয় তার সাথে নতুন করে যোগ হয়েছে মজুদকৃত কয়লা। এছাড়াও একশ্রেণীর ব্যবসায়ীরা ট্রাকে করে কয়লা এনে শহর রক্ষা বাধের সড়কে কয়লা মজুদ করছে। এর ফলে কয়লার বিষাক্ত এ্যামোনিয়া গ্যাস ও ধুলি কণা বাতাসে উড়ে শহরের ভৈরবপুর গ্রামের বসবাসরত কয়েক হাজার মানুষের বাড়ি ঘর কালিতে নষ্টসহ রোগ আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ নানা বয়সের মানুষ।
এ সময় মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মোঃ দ্বীন ইসলাম, কবিরুজ্জামান রুমান, মাসুম বিল্লাহ আল আতিক পায়েল ,আরিফুল ইসলাম সুজনসহ অনেকেই বলেন ভৈরব বাজারে প্রবেশের অন্যতম সড়ক শহর রক্ষা বাধের সড়কের পাশে পৌর শহরের ময়লা আবজর্নার বজ্য ফেলে পরিবেশ দূষণসহ মশা মাছি সৃষ্টি হয়ে রোগ জীবাণু ছড়াচ্ছে। অন্যদিকে এক ধরনের মোনাফালোভীরা কয়লা এনে এখানে মজুদ করছে। কয়লার ধূলিকণা বাতাসে উড়ে আমাদেও বাড়িÑঘর নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও মিল কারখানার ধুলা-বালি এর সাথে যুক্ত হয়ে এলাকার পরিবেশ মারাত্নক হুমকির মুখে। তাই আগামী ৭ দিনের মধ্যে পৌরসভার মেয়র,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে ময়লা-আবজর্না ও কয়লা পরিস্কার করে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।