চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলের বিভিন্ন নদনদী ও খাল-বিলে পানি কমছে। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন নদী ও বিলের মুখে স্থাপন করা হচ্ছে অবৈধ সোঁতিজাল। একইসাথে অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ নিধনের উৎসব চলছে। দিন-রাত বিরামহীনভাবে দেশী প্রজাতির মাছ নিধন করা হচ্ছে। এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতার প্রত্যক্ষ মদদে উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বিভিন্ন বিল ও কাটা নদীতে সোঁতিজাল স্থাপন করা হয়েছে। অনেক স্থানে বাঁশ ও কাঠ পুঁতে সোঁতিজাল বা সোঁতি বাঁধ স্থানের আয়োজন চলছে। হান্ডিয়ালের ডেফলচড়া ও পাকপাড়া কৃষি কলেজের পাশে কাটা নদীতে গত এক সপ্তাহ ধরে অবৈধ সোঁতিজাল স্থাপন করা হয়েছে। ফলে পানি নিশ্কাশনে চরমভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। হান্ডিয়াল ইউপি চেয়ারম্যান কে এম জাকির হোসেন জানান,প্রতি বছরের মতো এবারও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সোঁতিজাল দিয়ে মাছ নিধনে মেতে উঠেছে।
এদিকে,বিলে কারেন্ট জাল ব্যবহারকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গ্রামগঞ্জের হাটগুলোতে এ জাল বিক্রি হচ্ছে অবাধে। ফলে অসাধু জেলেরা অধিক লাভের আশায় নদনদীতে কারেন্ট জাল ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরছে। সম্প্রতি মৎস্য দপ্তর চাটমোহর রেলবাজার হাট থেকে অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করে। কিন্তু বিক্রি বন্ধ হয়নি। মৎস্য বিভাগ বলছে,কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কারেন্ট জাল ব্যবহারে দেশি মাছের পোনা ধরে ফেলায় মিঠাপানির মাছ বিলুপ্ত হতে চলেছে। দিনে ও রাতে প্রকাশ্যে চলছে সোঁতিজাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে মৎস্য নিধন।
চাটমোহর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান,সোঁতিজাল স্থাপনের বিষয়টি তারা শুনেছেন। উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতেও ইউপি চেয়ারম্যানরা বিষয়টি বলেছেন। সোঁতিবাধ অপসারণের সিদ্ধান্তও হয়েছে। শীঘ্রই ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সোঁতিবাঁধ অপসারণ করা হবে।