লালমনিরহাট সদর আসনের সংসদ সদস্য বরাদ্দ ননসোলার ও টিআর কাজের অনিয়মের অভিযাগ উঠেছে। নিম্নমানের কাজ, মাটি ভরাট না করই বিল উত্তালন, সড়ক সংস্কার কাজের অনিয়ম ও দুনীতির ঘটনায় ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী।
জানাগছে, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের গ্রামীন অবোকাঠামো সংস্কার কাবিখা প্রকল্পের আওতায় কাজের জন্য ২৪টি প্রকল্প বরাদ্দ হয়। লালমনিরহাট সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপির নিবার্চানী এলাকায় কয়েকটি প্রকল্পের কাজের জন্য বরাদ্ব দেওয়া হয়। তার মধ্যে প্রকল্প নং ০৭০৪১৩ ও ০৭০৪১৪ নাম্বার প্রকল্পের মধ্যে দুইটি কাজের ব্যাপক অনিয়ম ও দুনীতির অভিযাগ উঠেছে। প্রকল্প দুইটির প্রকল্প চেয়ারম্যান করা হয়েছে জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতা জাকিরুল ইসলামক।
প্রকল্প গুলো হলো ০৭০৪১৩ নাম্বার সদর উপজেলার মহেদ্রনগর ইউনিয়নের র্যাবের বাজার থেকে মহিলা ভাইস--চেয়ারম্যানের বাড়ি পর্যন্ত সংস্কার কাজ। এজন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এই প্রকল্পের যে পরিমানের মাটি কাঁটার কথা ছিলো তার চেয়ে সামান্য কয়েক টলি মাটি কেটে বাকী টাকা হয়েছেে লুটপাট।
এছাড়াও ০৭০৪১১৪ নাম্বার প্রকল্প র্যাবের বাজার থেকে পাঙ্গাটারী শেষ মাথা পর্যন্ত কাজের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩লাখ টাকা। এই প্রকল্প দুইটির কাজ না করেই বেশিরভাগ টাকা লুটপাট করেছে প্রকল্প চেয়ারম্যান ওই জাতিয় ছাত্র সমাজর নতা প্রকল্প চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম।
শুক্রবার (২১ আগষ্ট) বিকেলে সরেজমিনে গেলে ওই প্রকল্প দুইটিতে গেললে দেখা যায়ৃ মাটির সড়ক গুলাতে পড়েনি কোন কাজের ছোয়া। খানাখন্দে ভরা রাস্তাটি পড়ে রয়েছে। সড়ক সংস্কার নামে টাকা লুটপাট করা নিয়ে ক্ষুদ্ধ ভুক্তভগী লাকজন।
প্রকল্প চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির জাতীয় ছাত্র সমাজর নেতা জাকিরুল ইসলাম জানান, বরাদ্দের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করেছি। কোন প্রকারের অনিয়ম দুনীতি হয়নি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযাগ ও অপপ্রচার চালাচ্ছে।
ওদিক জেলা প্রশাসক মাঃ আবু জাফর জানান, সরকারী প্রকল্পে কোন প্রকারের অনিয়ম দুনীতি হলে প্রকল্প চেয়াররম্যানের বিরুদ্ধ নওয়া হব আইনানুগ ব্যাবস্য।