বগুড়ার আদমদীঘিতে অন্ত:সত্বা গৃহবধুকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাত পা ও মুখ বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়ে পুতে রাখতে খোঁড়া হয় কবর মামলার তিন নম্বর পলাতক আসামী সিরাজুল ইসলামের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের দক্ষিনে জোড়াখাড়ি নামক স্থানে একটি কদম গাছের সাথে গলায় দড়ির ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ বগুড়া মর্গে প্রেরন করেছেন।
আদমদীঘির নামাপাইকপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নাইমের সাথে ৫ বছর আগে নওগাঁর এনায়েতপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে ফাল্গুনীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ফাল্গুনীকে তার স্বামী নাইম ও স্বাশুড়ি রেহেনা প্রায় শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ফাল্গুনী বর্তমানে ৯ মাসের অন্ত:সত্বা।
গত ১২ আগষ্ট বুধবার বিকেলে স্ত্রী ফাল্গুনী পাশের বাড়িতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে স্বামী স্বাশুড়ির সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে স্বামী নাইম স্ত্রী ফাল্গুনীকে ঘরে আটক করে হাত পা ও মুখ বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে বাড়িতে কবর খুঁড়ে। এসময় কৌশলে ফাল্গুনী হাতের বাঁধন খুলে চিৎকার দিলে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে ঘরের জানালা ভেঙ্গে ফাল্গুনীকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধু ফাগ্লুনীর বাবা শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে ১৩ আগষ্ট ফাল্গুনীর স্বামী নাইম, স্বাশুড়ী রেহেনা খাতুন ও স্বশুড় সিরাজুল ইসলামকে আসামী করে থানায় মামলা করলে পুলিশ নাইম ও তার মা রেহেনা খাতুনকে গ্রেফতার করে।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জালাল উদ্দীন জানান, মামলার ৩নং আসামী সিরাজুল ইসলাম দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওই স্থানে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে।