নেত্রকোনার দুর্গাপুরে নেশার টাকা চাইলে স্ত্রী রুবিনা খাতুন না দেয়ায় হাত-পা বেঁধে রাতভর মারপিট করল পাষ- স্বামী আল আমিন(২১)। ৩১ আগস্ট সোমবার রাত ৯টার দিকে সরকারী হাসপাতালে সরেজমিনে গেলে ভিকটিম রুবিনা খাতুন(২০) প্রচন্ড আঘাতে বার বার মূর্চা যাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। গত ২২ আগস্ট রাত ১০টার দিকে দুর্গাপুর পৌরসদরের সাধুপাড়াস্থ আবদুল কাদির পোদ্দারের বাসার ভাড়াটিয়া হিসাবে থাকা নববধূ এ নির্মম ঘটনার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া অভিযোগটির তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানান দুর্গাপুর থানার এস.আই আবদুল কাদির।
বেধড়ক মারপিটের শিকার নববধূ রুবিনা আক্তার উপজেলা সরকারি হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডের তিন নম্বর বিছানায় শুয়ে এখনও মূর্চা যাচ্ছেন। নব দম্পত্তির পারিবারিকভাবে গত ২৯ মে রেজিস্ট্রি মূলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দুই মাসেই সুন্দর সংসারে মাদকের ছোবল কেড়ে নিতে বসছে নবজীবনের জৌলুস। বিয়ের এক মাস না পেরোতেই দেশীয় মদ সহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে আল আমিন। মামলা রুজু পূর্বক বিজ্ঞ আদালত জামিন দিলে নেশার প্রতি আরো দেউলিয়া হয়ে পড়ে স্বামী এমন তথ্য জানালেন চিকিৎসাধীন থাকা স্ত্রী রুবিনা খাতুন। আর নেশার টাকার জোগান দিত মা সেলিনা খাতুন(৪৫)। আর রাজনীতির চত্রছায়ার যোগানদাতা হিসেবে ভুমিকা রাখত ভগ্নিপতি সাধুপাড়া এলাকার মৃত কাজল মিয়ার পুত্র স্বপন মিয়া(৩০)। এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছে ভুক্তভোগীর ভাই বাবুল মিয়া।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগের বিবরণ থেকে জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে শ^শুর বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করে আল আমিন। টাকা এনে দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্ত্রী রুবিনার কানের দোল খুলে দিতে বলে। দোল দিতে না চাইলে রাত দশটার দিকে রশি দিয়ে দুই পা আর একহাত একসাথে বেঁেধ বেদম মারপিট করে। পরদিন খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। মাথার প্রচন্ড আঘাত প্রাপ্ত হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক সিটিস্ক্যান করতে ময়মনসিংহ হাসাপাতালে রেফার করেন। একদিন পর পুনরায় সরকারি হাসপাতালে আসলে ওর ভগ্নিপতি স্বপন মিয়া রাত ১২টার দিকে হাসপাতালের বেডে থাকা সিটিস্ক্যান রিপোর্ট ও অন্যান্য কাগজপত্রাদী দস্তাদস্তি করে নিয়ে যায় বলে রুবিনা খাতুন দাবী করে। এ বিষয়ে আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে সুবিচার কামনা করছি।
দুর্গাপুর থানার ওসি শাহ নুর-এ-আলম জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে যথাযত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।