সরাইলে জজ মিয়া (৬৬) নামের এক ব্যক্তির অত্যাচার অবিচার ও নির্যাতনে নিস্পেশিত গ্রামবাসী ফুঁসে ওঠেছে। এরই প্রতিবাদে বিচারের আশায় গতকাল তার সহোদর বড় ভাই বারোল্লা মিয়া (৯০), সাবেক স্ত্রী শাহেরা বেগম (৪৮) সহ এলাকাবাসী সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের কালিকচ্ছ বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। এ সময় সড়কে ২০ মিনিট যান চলাচল বন্ধ ছিল। মানববন্ধন শেষে তারা সড়কে ঘুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। জজ মিয়ার বাড়ি কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ (ধরন্তি) গ্রামে। স্থানীয় বেশ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশ গ্রহনকারী লোকজন অভিযোগ করে বলেন, সুদ ঘোষ থেকে শুরূ করে অগণিত অপকর্মের হোতা জজ মিয়া। পেশি শক্তির দ্বারা জিম্মি করে সর্দারির নামে গ্রামবাসীকে শোষণ করে আসছেন। কারো জায়গা জমি ক্রয়-বিক্রয় ও জমার কাজে তার দালালী থাকতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলেই ঝামেলা বাধিয়ে দেন। অনেক সময় নিরীহ মানুষদের উপর তার বাহিনী দিয়ে তান্ডব চালানোর অভিযোগও করেছেন লোকজন। রয়েছে নানা কূট কৌশলে দাঙ্গা হাঙ্গামা লাগিয়ে খালি ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ। আবদুর রহমান বলেন, মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে জজ মিয়া তাকে জেল খাঁটিয়েছে। এখন আবার জিহাদের বিরূদ্ধে ভূঁয়া অভিযোগ করেছে। জজ মিয়ার সাবেক স্ত্রী শাহেরা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, তার ছোট বোনকে ফুসলিয়ে বিয়ে করে নারী লোভী জজ মিয়া। নিজের ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করিয়েছে। ৭ লাখ নিয়ে মামলা হালকা করে দিয়েছে। আজও পায়নি ছেলে হত্যার বিচার। মো. সাইদুর রহমান বলেন, আপন বড় ভাই ছায়েদ মিয়ার সাথে পারিবারিক ঝামেলা হয়। সর্দারি করতে এসে জজ মিয়া ১০০ টাকা মূল্যের ৬টি খালি ষ্ট্যাম্পে আমার স্বাক্ষর নেয়। ওঁর মনগড়া ভাবে ১৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা লিখেন। এ রায় প্রত্যাখ্যান করায় আমার মার্কেটে ২০টি তালা দেয়। আমাকে মারধর করে গুরূতর আহত করে তার বাহিনী। জজ মিয়ার আপন বড় ভাই বারোল্লা মিয়া ও আরো ১০-১২ জন লোক সরকারি প্রকল্পের টাকা কাজ না করে আত্মসাতে সহ শতাধিক অভিযোগ করেন তার বিরূদ্ধে। মানববন্ধন শেষে লোকজন বিক্ষোভ করে কালিকচ্ছ বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। তারা জজ মিয়ার বিরূদ্ধে নানা ধরণের স্লোগান দেন।