নওগাঁর ধামইরহাটে রসপুর আবাসন কেন্দ্রে প্রায় ১০০ ভূমিহীন পরিবারকে পূনর্বাসন করে প্রশাসন। ওয়ান ইলেভেনে ওইসব ভূমিহীনদেন দুর্ভোগ লাঘবে তাদের পূনর্বাসন করা হয়েছিল। বর্তমানে অধিকাংশ ঘরের টিন জরাজীর্ণ অবস্থায় বড় বড় ফুটো হয়ে গেছে, কোথাও টিন উড়ে গেছে, একটু বৃষ্টিতে ঘরে রক্ষিত আসবাবপত্র ও খাদ্য সামগ্রী ভিজে যায় বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. দেলদার হোসেন জানান, ১ যুগ পূর্বে দেশে জরুরি অবস্থা চলাকালীন মঈন উদ্দিন-ফখরুদ্দিনের শাসনামলে রসপুরে হিন্দু, মুসলমান, আদিবাসীসহ ১শত পরিবার নতুন ঘর নির্মান করে তাদের নামে দলিল সম্পাদন করে দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে ঘরগুলো অধিক পুরোনো হওয়ায় অনেকটাই বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, আমি উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের ঘর মেরামত সহ আশ্রয়ণ কেন্দ্র বসবাস উপযোগী করার আহবান জানাচ্ছি।
ভুক্তভোগী আশ্রয়ণ কেন্দ্রের সাইফুল ইসলাম জানান, কয়েক বছর পূর্বে চুলার আগুনে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১০টি ঘরের অধিকাংশ পুড়ে যায়, সেই থেকে টিনগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।
রসপুর আবাসন কেন্দ্রে গঠিত সমবায় সমিতির সম্পাদক আফজাল হোসেন, ‘আমাদের এখানে ১০-১৫ ঘর ব্যবহারের মত নয়, তাছাড়াও প্রায় সব ঘরেই পানি পড়ে, আমাদের এখানে কোন মসজিদ বা মক্তব না থাকায় নামাজ পড়া বা ধর্মীয় মিলাদ মাহফিল করতে কষ্ট হয়, দুরবর্তী মসজিদে গিয়ে নামাজ-কালাম পড়তে হয়।’
খেলনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জানান, প্রায় ৫-৭ বছর পূর্বে আগুন লাগার পর থেকে এই ঘরগুলোর বেহাল অবস্থা, আর এখানে বসবাসরত অনেকেই বেপরোয়া চলাফেরা, মাদকসহ বিভিন্ন নেশায় আসক্ত হয়ে নোংরা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, আমি সার্বিক বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেছি।
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, সমবায় অধিদপ্তরের রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত একটি সমবায় সমিতি সেখানে বিদ্যমান আছে এবং কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, খুব শ্রীঘ্রই সেখানে এডহক কমিটি ও নির্বাচন সাপেক্ষে নতুন কমিটি উপহার দেয়া হবে, এবং নতুন কমিটি সেখানকার সুস্থ্য পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে বলে আমি মনে করি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গনপতি রায় বলেন, আমরা ইতোমধ্যে রসপুর আবাসন কেন্দ্রের বিষয়টি অবগত করে ঊর্ধ্বতন মহলে চিঠি প্রেরণ করেছি, আশা করছি খুব শ্রীঘ্রই আমরা রসপুর আবাসন কেন্দ্র মেরামতে সরকারি বরাদ্দ পাবো।