নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় মির্জাগঞ্জ হাটের জায়গা দখল করে ঘর তুলে বিক্রয় করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাব্বি হোসেনের বিরুদ্ধে। রোববার সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের কয়েকজন নেতারা।
রাব্বি হোসেন হাটের ইজারাদার রাজু আহমেদের সাথে জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের মির্জাগঞ্জ হাটটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন।
জোড়াবাড়ি ইউনিয়ন যুব লীগের সাধারন সম্পাদক রমজান আলী ও ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান টিটুল অভিযোগ করে জানান, মির্জাগঞ্জ হাটের ইজারা নেয় চিলাহাটি এলাকার রাজু আহমেদ। কিন্তু হাটের পাশ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা জোড়াবাড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাব্বি হোসেন দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেকে ইজারাদার পরিচয় দিয়ে হাটে প্রভাব বিস্তার করে। হাটের জায়গা দখলে নিয়ে নতুন দোকান ঘর তৈরী করে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে অনেকের কাছে বিক্রি করেছেন। নিজের জন্যও একটি দোকান ঘর তৈরী করে দখল করে রেখেছেন। তারা আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সকল নেতাকর্মীদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে বলেছে। তাই রাব্বি আমাদের নিজের দলের নেতা হলেও তার দখলবাজির আমরা প্রতিবাদ করেছি।
তারা জানান, পুরাতন টিন ও পুরাতন বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে নতুন করে ঘর নির্মান করেছে। যাতে কেউ নতুন করে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে বুঝতে না পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য রাব্বি হোসেনের কাছে ৩০ হাজার দিয়ে হাটের ভিতরে একটি গোডাউন ঘর কিনে নেওয়া কথা জানান। জনপ্রতিনিধি হয়ে সরকারী জমির উপর নির্মিত ঘর ক্রয় করার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ভুলে এ কাজ করেছি।
রাব্বি ইসলাম দোকান ঘর বিক্রির বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে জানান, আমি একজনের কাছে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আমার গোডাউনে তাকে মাল রাখতে দিয়েছি।
হাটের ইজারাদার রাজু আহমেদ জানান, আমি মির্জাগঞ্জ হাট ইজারা নেই। একা চালাতে সমস্যা হওয়ায় রাব্বি হোসেন, হেলাল ও বকুলকে পার্টনার হিসেবে যুক্ত করি। তবে হাটের জায়গা দখল ও দোকান ঘর বিক্রির বিষয়ে আমার জানা নাই।
উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম রিমুন বলেন, আমিও রাব্বির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ পেয়েছি। প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মনোয়ার হোসেন জানান, নতুন দোকান ঘর উঠানোর অভিযোগ পেয়ে সেখানে আমি গিয়েছিলাম। গাছ পড়ে ভেঙে যাওয়া দোকান ঘরগুলো মেরামত করতে দেখেছি। তবে আমার আসার পর কোন ঘর উঠানো হয়েছে কিনা, তা যাচাইয়ের জন্য তহশিলদারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলেছি।