নওগাঁর সাপাহারে জমির ধান খাওয়ার অপরাধে একটি এঁড়ে গরু কে অমানবিক ভাবে পিঠিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে।
সাপাহার থানায় দাখিলকৃত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে উপজেলার সীমান্তবর্তী হাঁপানিয়া কৃষ্ণসদা গ্রামের মফিজ উদ্দীনের ছেলে অসহায় দিন মজুর হাবিবুর রহমানের পালিত একটি এঁড়ে গরু গত ২ সেপ্টেম্বর দুপুরে কৃষ্ণসদা উত্তর মাঠে নদীর ধারে চড়ে বেড়ানোর সময় অসাবধানতা বশত একই এলাকার শিয়ালমারী আন্ধার দিঘী গ্রামের মৃত: আয়নাল হক এর ছেলে এরশাদ আলীর ধানী জমিতে প্রবেশ করে ধান খেয়ে ফেলে। এ সময় জমির মালিক এরশাদ আলী লাঠি দিয়ে তার গরুটি কে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটাতে থাকে। লাঠির আঘাতে গরুর একটি পা ভেঙ্গে যায়। এরশাদ আলী অমানবিক ভাবে গরুর পেটে বাঁশের লাঠি দিয়ে গুতিয়ে গরুটিকে হত্যার চেষ্টা করে। গুরুত্বর আহত ওই এঁড়ে গরুটিকে স্থানীয় খোয়াড়ে না দিয়ে প্রতিহিংসা মুলক ভাবে সে পার্শ্ববর্তী পাতাড়ী ইউনিয়নের কলমুডাঙ্গা চৌমুহনী খোঁয়াড়ে জমা দিয়ে আসে। সংবাদ পেয়ে গরুর মালিক হাবিবুর রহমান ওই দিন রাত ৯টায় খোয়াড়ে গিয়ে গরুটিকে গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় অসুস্থ ওই গরুটিকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন ও স্থানীয় একজন পশু চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা করানোর এক পর্যায় গত ৫ সেপ্টেমম্বর ভোর রাতে মারা যায়। গরুর মালিক অসহায় হাবিবুর রহমান জানান ওই গরুটি তার একমাত্র সম্বল ছিল। অমানবিক ভাবে নির্যাতনের কারণে গরুটি মরে যাওয়ায় তার প্রায় ৫০হাজার টাকার সম্পদ ক্ষতি গ্রস্থ্য হয়েছে। এ অমানবিক ঘটনার সাথে জড়িত এরসাদ আলীর বিরুদ্ধে সাপাহার থানায় ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এ বিষয়ে সাপাহার থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) আবদুল হাই এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন যে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।