রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার তারাগঞ্জ ও/এ সরকারি ডিগ্রী কলেজে উপবৃত্তির নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। চলছে উপবৃত্তির নামে নৈরাজ্য।
সরকার যেখানে শিক্ষার জন্য সকল সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করছেন দেশ গড়তে। আর সেখানে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে উপবৃত্তি আহ্বায়ক কমিটি আবেদন ফরমের নামে দুই হতে তিন’শ টাকা জন প্রতি ঘুষ নেয়ার ফন্দি করেছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। বাধ্যতামূলক অনলাইনে পূরণকৃত ফরম ওই কলেজে জমা দিতে গেলেও গুনতে হবে পঞ্চাশ টাকা প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে এমনটাই ঘটেছে রংপুরের তারাগঞ্জ ও/এ সরকারি কলেজে উপবৃত্তির নামে নৈরাজ্য।
সোমবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি শিক্ষা বর্ষের ২০১৬-১৭ইং হতে ২০১৮-১৯ ইং এর ডিগ্রী ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য ১৬-০৮-২০ ইং হতে ১৫-০৯-২০ইং পর্যন্ত অনলাইনে তাদের উপবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নীতিমালা অনুসারে তাদের ওই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে এবং প্রত্যেকেই ৫৯০০ করে টাকা পাবেন। কিন্তু পূর্বের নিয়ম নীতিমালায় এ বছর উল্লেখ নেই।
ওই কলেজের শিক্ষার্থী মনোয়ার হোসেন, ইসমোতারা খাতুন, সাকিল হোসেন,বিপুল চন্দ্র, সুমাইয়া খাতুন সহ একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কাছে অধ্যক্ষ কিছু লেলিয়ে দেয়া লোক দিয়ে প্রায় নৈরাজ্য করে থাকে। সুবিধা ভোগীদের বঞ্চিত করে মনগড়া সেলেকশন স্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের হাফ-ফুল বেতন ফ্রি সহ বিবাহিতদের উপবৃত্তি সুবিধা দেন। এবারেও তার নীল নকশা উপবৃত্তির ব্যাপারেও বাদ পরেনি।
তারাগঞ্জ ও/এ সরকারি কলেজের হেড ক্লার্ক ও উপবৃত্তির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কাজী দুলাল হোসেন বলেন, আামাদের কলেজে তিন বর্ষ মিলে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী হবে। গত ৩১শে আগস্ট সোমবার তাদের উপবৃত্তির ফরম অফিস হতে দুইশত টাকা করে নিয়ে দেয়া হয়েছে। ওই বিষয়ে কলেজের উপবৃত্তির আহ্বায়ক কমিটি খরচের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নিকট পঞ্চাশ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে এবং নেয়া হচ্ছে।
তারাগঞ্জ ও/এ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল বারী মন্ডল বলেন, ‘কলেজে উপবৃত্তির জন্য কোন টাকা কেউ নিয়ে থাকলে তা আমার জানা নেই। টাকা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, যে পঞ্চাশ টাকা নেয়া হচ্ছে তার খরচের ব্যাপার আছে। তবে প্রথম দিকে দুলাল একটি ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে আমরা অনেক ভালো আছি তেমন অনিয়ম করি না।’
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহনাজ বেগম বলেন, ‘সরকারি ভাবে উপবৃত্তির জন্য কোন টাকা পয়সা নেয়ার কথা কোথাও উল্লেখ নেই। তবুও কেউ এ অনিয়ম করে থাকলে তা বহির্ভূত।’ ইউএনও আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘উপবৃত্তি সহ যেকোন বিষয়ে বাড়তি টাকা নেয়ার সরকারি কোন নিয়ম নেই। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’