দাদীর সঙ্গে ঢাকা থেকে বগুড়ার শাজাহানপুরের চকলোকমান এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বেড়াতে আসে ছয় বছরের নাতি মরিয়ম। বিকেলে মানসিক ভারসাম্যহীন চাচা আজমের সঙ্গে ঘুরতে বের হয় মরিয়ম। শহরের রহমাননগর এলাকায় গিয়ে ভাড়া বাড়ির ঠিকানা ভুলে যান চাচা ও ভাতিজি। তখন সময় বিকেল ৫ টা।
ওই সময় তাদেরকে দেখে সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। স্থানীয়রা মনে করেন মরিয়মের সাথে থাকা লোকটি তাকে চুরি করেছে।
স্থানীয়দের প্রশ্নের কোনো জবাব দিতে পারেন না মরিয়মের চাচা। এসব দেখে রহমাননগরের জাহাঙ্গীর আলম নামের এক লোক তাদেরকে নিজের হেফাজতে নেন। পরে নাইম নামের এক যুবক ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি জানান।
পুলিশ এসে তার চাচাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা শুধু তাদের ঠিকানা হিসেবে ‘বিসমিল্লাহ লজ’ নাম উল্লেখ করেন। তাদের দেওয়া তথ্যে সদর থানার এসআই বেদার উদ্দিন শাজাহানপুর উপজেলার চকলোকমান ‘বিসমিল্লাহ লজ’ এলাকায় এই দুইজনকে নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পরে তারা তাদের বাড়ি চিনতে পারে। তখন বাজে রাত সাড়ে ৮ টা। এর আগে বিকেলে মরিয়ম তার চাচার সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল।
মরিয়মের ফুফাতো ভাই আফতাব জানান, তারা স্বপরিবারে বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে বগুড়ায় এসেছেন। তারা এই জেলায় নতুন। বিকেলে মরিয়ম তার মানসিক ভারসাম্যহীন চাচা আজমের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়েছিল। মরিয়মের বাবা-মা ঢাকাতে থাকেন। সে এই বাড়িতে বেড়াতে এসেছে।
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বেদার আলী জানান, মরিয়ম তার চাচার সঙ্গে ঘুরতে বের হয়েছিল। তার চাচা মানসিক ভারসাম্যহীন। একারণে ভাড়াবাড়ির ঠিকানা তারা ভুলে গিয়েছিল। ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে শিশু মরিয়মকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি।