নীলফামারীর ডিমলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক নারীকে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে ডিমলা থানা পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনার বিবরনে জানাযায়, গত(৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের (শুটিবাড়ী বাজার) সংলগ্ন এলাকার মৃত রুহুল আমিনের মেয়ে সাদিকা আক্তার (১৫) বাড়ীর গোসল খানায় গোসল করার সময় একই এলাকার আবদুল খালেকের ছেলে সজীব মিয়া(২৫) গোসল খানার টিনের ফাঁক দিয়ে সাদিকা আক্তারকে দেখার সময় সাদিকা টিনের নিচ দিয়ে সজীব মিয়ার পা দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে সাদিকার ভাই শাহ আলম(২৫) ও মাতা নুর জাহান বেগম(৪৫) গোসল খানার দিকে যাওয়ার সময় সজীবকে গোসল খানার কাছ থেকে দৌড়ে পালাতে দেখে। পরবর্তিতে বিষয়টি সজীবের অভিভাবকদের জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠিসোটা ও ধারালো ছোরা নিয়ে সাদিকার বাড়ীর টিনের দরজা ভেঙ্গে বাড়ীতে প্রবেশ করে সাদিকার মা নুর জাহান বেগমকে ধারালো ছোরা দিয়ে মাথায় চোট মারলে নুরজাহান বেগম মাটিতে লুটিয়ে পরে। এ সময় লোকজন ছুটে এল প্রতিপক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। এলাকার লোকজন আহত নুর জাহান বেগমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ডিমলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করালে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত(৬ সেপ্টেম্বর) ডিমলা হাসপাতাল কতৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাতরিত করেন। আর্থিক অভাব অনটনের কারণে রংপুরে রেখে তার চিকিৎসার খরচ বহন করতে না পারায় পরিবারের লোকজন অসুস্থ নুর জাহানকে গত(১৪ সেপ্টেম্বর) বাড়ীতে নিয়ে এসে আবারো ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করায়। ডিমলা হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় গত শুক্রবার(১৮ সেপ্টেম্বর) নুর জাহান বেগম মৃত্যু বরন করেন। এ ব্যাপারে নুর জাহান বেগমের ছেলে শাহ আলম বাদী হয়ে সজীব মিয়াসহ ৪ জনকে আসামি করে ডিমলা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার সুত্র ধরে ডিমলা থানা পুলিশ আসামি সজীবকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করেন। ডিমলা থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।