টানা ৬ দিনের অতিমাত্রায় বৃস্টির কবলে পড়ে খামারে পানি উঠে মারা গেছে ৬শ ৭১টি হাঁস। নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের কুটিপাড়ার বাসিন্দা ৪ বন্ধুর হাঁসের খামারে এ ঘটনা ঘটে। খামার এত হাঁসের মৃত্যুতে তাদের মাথায় বাজ পড়েছে।
২৯ সেপ্টেম্বর ঘটনাস্থলে গেলে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে তাদের হাঁসের খামারটি। ওই গ্রামের চার বন্ধু কলেজ ছাত্র তাহেরুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, কবির বাবু মিয়া ও গোলসান জানান, গত কয়েক দিনের টানা ভারী বৃস্টির পানিতে হাঁসের খামারটি তলিয়ে যেতে থাকে।
তারা জানায়, করোনাকালিন কলেজ বন্ধ থাকায় চার বন্ধু মিলে ৪ লাখ টাকা দিয়ে হাঁসের খামারটি গড়ে তুলি। চলতি বছরের ১৮ জুলাই নওগাঁ সরকারী হাঁসের খামার হতে একদিনের মোট ২ হাজার ৫৩টি হাঁস এনে লালন পালন করি। টানা বৃিিস্টতে ৬শ ৭১টি হাঁস পানির তোরে মারা যায়। পাশাপাশি ২০ বস্তা হাঁসের খাদ্য ভেসে গেছে পানিতে।
তারা বলেন, হাঁসগুলো আমরা পরিচর্যা করে বড় করেছিলাম। এক একটি হাঁসের বর্তমান বাজার দর প্রায় সাড়ে ৩শ টাকা হবে। এ ছাড়া হাঁসের চারটি ডিমের মূল্য ৪৫ টাকা। শুরুতে আমরা বড় ধরনের হোচট খেলাম। এখন বাকী হাসগুলোকে বাঁচিয়ে রেখে খামারটি চালু করতে আমাদের নতুন করে যুদ্ধে নামতে হবে।
মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল হোসেন শিহাব জানান, চার বন্ধু মিলে খামার করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু টানা ৬দিনের অতিমাত্রার বৃস্টিতে তাদের হাঁস মরে যাওয়ায় ছেলেগুলো বিপদে পড়লো। তিনি আরও জানান- তার ইউনিয়নে প্রায় ১ শ পুকুরের মাছ স¤পূর্ণ ভেসে গেছে। অন্যদিকে ১শ ৫০ একর জমির আমন ধান ও সবজি ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
কিশোরীগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. হোসেন মোহাম্মদ রাকিবুল রহমান জানান, আমরা খোঁজখবর নিয়েছি। হাঁসের খামারে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য কোন সহযোগিতার সুযোগ থাকলে আমরা তাদের সহযোগিতা করব।