অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙ্গনসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিবেশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কতিপয় দুষ্কৃতকারী অতীব গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প সংলগ্ন এলাকায় এবং সরকারের বালুমহাল হিসেবে ঘোষিত নয় এমন এলাকা থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। এ ছাড়া কোনো কোনো অনুমোদিত ইজারাদারও বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ অনুসরণ না করে বালু উত্তোলন করছেন। ফলে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় নদীভাঙন বৃদ্ধি পাচ্ছে ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার অন্তর্গত পুরাতন ব্রম্মপুত্র নদ থেকে অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে অত্র এলাকার নদী তীরবর্তী স্থানগুলোতে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এমতাবস্থায় শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বিশেষ নির্দেশনা ও কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর নির্দেশনায় অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ কে এম লুৎফর রহমান এবং বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ফজলে রাব্বি। অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করেন জেলা পুলিশ ও র্যাব, কিশোরগঞ্জ এর দুইটি চৌকস দল এবং BIWTA। এ সময় অবৈধ বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত কয়েকটি বাল্কহেড ড্রেজারসহ বালু বহনকারী কার্গো ট্রলার অপসারণ করা হয়। এছাড়াও অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে ১০ জন ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করা হয় এবং অভিযুক্ত প্রত্যেককে বালুমহাল ও মাটি ব্যাবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫(১) ধারা মোতাবেকতিন মাসের কারাদ- এবং বিভিন্ন পরিমাণে অর্থদ- করা হয়।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ও অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন, কিশোরগঞ্জ এর এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।