সরকার হতদরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির কার্যক্রম শুরু করলেও বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের বাসিন্দারা বঞ্চিত হয়েছে। ইতোমধ্যে এ এলাকার জন্য বরাদ্দকৃত সেপ্টেম্বর মাসের ৩৮ মেট্রিক টন চাল ফেরত গেছে! ডিলারের গাফেলতির কারণেই বরাদ্দের চাল ফেরত গেছে জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়ন থেকে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সরকার বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত, স্বামী পরিত্যক্তা ও যেসব পরিবারে শিশু আছে তাদের হতদরিদ্র হিসেবে চিহ্নিত করে ১০ টাকা মূল্যের চাল বিক্রির নীতিমালা করেছে। সে চাল জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের ডিলাদের গাফেলতির জন্য ফেরত গেছে বলে সত্যতা স্বীকার করেছেন উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা রুবিনা পারভিন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নে ১২শ ৮৪ টি হতদরিদ্র পরিবার ১০ টাকা কেজি মূল্যের চাল চলতি সেপ্টেন্বর মাস শেষ হয়ে গেলেও এখনও পায়নি। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে মার্চ এপ্রিল, সেপ্টেন্বর ,অক্টোন্বর ও নভেম্বর এই পাঁচ মাস স্বল্পমূল্যে নির্ধারিত উপকারভোগীদের মাঝে চাল বিতরন করার কথা। প্রতি মাসে র্নিধারিত ডিলারের কাছ থেকে প্রত্যেক উপকারভোগী ৩০ কেজি চাল ৩ শ টাকা মূল্যে ক্রয় করবেন। এরই ধারাবাহিকতায় জাহাঙ্গীর ইউনিয়নের বাদে চাঁদপাশা, রহমতপুর, কেদারপুর, মাধবপাশা, দেহেরগতি ইউনিয়নের চাল বিতরন কার্যক্রম শেষ করেছেন। কিন্তু জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নে ১২শ ৮৪ টি হতদরিদ্র পরিবারকে ১০টাকা কেজি মূল্যে চাল বিতরন কর্মসূচির আওতায় আনা হয়। এ চাল বিতরনে দু’জন ডিলার নিয়োগ করা হয়। কিন্তু ইউনিয়নটিতে নিয়োজিত দু’জন ডিলার মোঃ হেলাল ও মোঃ আজাহার রাস্তা ভাঙার অজুহাত দেখিয়ে চাল উত্তোলন না করায় ১২শ ৮৪ জন হতদরিদ্র পরিবার এ কর্মসূচির চাল থেকে বঞ্চিত হয় এবং চাল ফেরত যায়। এ ব্যাপারে দুই ডিলারদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, আমরা খাদ্য খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে কোনো চুক্তি না করে আমাদের নাম বাদ দিয়ে অন্য ডিলার নিয়োগের কথা জানিয়েছি। তারা আরো জানায় উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে চাল নিয়ে ৩০ কিলোমিটার ঘুরে জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নে যেতে সরকারি বরাদ্দের চেয়ে তিনগুন ভাড়া গুনতে হয়। বিধায় আমরা দু’ডিলার থেকে অব্যাহতি চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয় বাবুগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোসাঃ রুবিনা পারভীনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নে নিয়োজিত দু’ডিলারকে চাল উত্তোলনের জন্য বার বার তাগিদ দেয়ার সত্বেও তারা চাল উত্তোলন না করে সেপ্টন্বরের শেষ র্মূহুতে তারা লিখিতভাবে জানিয়েছেন তাদের বাদ দিয়ে অন্য ডিলার নিয়োগের কথা। তাই এত সল্প সময়ে অন্য ডিলার নিয়োগ দেয়া যায়নি। এ অবম্হায় সেপ্টন্বরের মাসের বরাদ্দ বাতিল হয়ে যায়।