রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে সেনাবাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২ ইউপিডিএফ সদস্যের লাশ আজ রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে আনা হয়েছে।
গতকালের ঘটনার পর নানিয়ারচর উপজেলায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। হত্যাকান্ড সংঘটিত এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধিসহ পুরো নানিয়ারচর উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাব্বির আহম্মেদ।
তিনি জানান, পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। হত্যাকান্ডে এলাকা থেকে পুলিশ একটি একে-২২ এসএমজি ও গুলি উদ্ধার করে।
এদিকে হামলার ঘটনা আহত সেনা সদস্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল রাতেই হেলিকপ্টারের সহায়তায় চট্টগ্রাম সিএমএইচ এ নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমান তিনি আশংকামুক্ত আছেন বলে নিরাপত্তা বাহিনী সূত্র নিশ্চিত করেছে।
নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাব্বির আহম্মেদ আরো জানান, নিহত দুই জনের লাশের মধ্যে একজন রকেট চাকমা ও অপরজন ইন্দ্র জয় চাকমা। দুজন লাশের পরিচয় পাওয়া গেলেও তাদের কোন আত্মীয়স্বজন লাশের খোঁজ করতে আসেনি।
উল্লেখ্য যে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেনাটহলের উপর ইউপিডিএফ মুল (প্রসিত গ্রুপের) সন্ত্রাসীরা অতর্কিত গুলিবর্ষণ। এ সময় এক সেনা সদস্য গুলি বিদ্ধ হয়। আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে তাদের মধ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ইউপিডিএফ এর দুই সন্ত্রাসী নিহত হয়।
অপরদিকে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে সেনাবাহিনী কর্তৃক ইউপিডিএফের এক সদস্যসহ দুই জনকে বিচার বহির্ভুতভাবে গুলি করে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) ইউপিডিএফের রাঙ্গামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিৃবতিতে বলেন, গতকাল বিকালে নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট এলাকায় ইউপিডিএফের এক সদস্যসহ দুই জনকে পরিকল্পিতভাবে কথিত ‘গোলাগুলির’ নাটক সাজিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করে সংবাদ মাধ্যমে তাদের বার্তা পাঠায়।