কুড়িগ্রামের রাজারহাটে চুক্তি ভিত্তিতে চাকুরীরত এক কর্মচারীর ২০বছরেও বেতন বৃদ্ধি না হওয়ায় মানষিক রোগে আক্রান্ত হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করছেন।
জানা গেছে, উপজেলাধীন রাজারহাট সরকারি মীর ইসমাইল হোসেন কলেজে মাষ্টার রোলে চাকুরী নেন অসহায় আঃ হাকিম সরকার। সে চাকিরপশার ইউনিয়নের চাকিরপশার পাঠক গ্রামের মৃত আজিজার রহমানের পুত্র। ২০০০সাল থেকে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে আসছে ওই কলেজটিতে। ২০১০সালের ১নভেম্বর কলেজের গভর্নিং বডির রেজুলেশনের মাধ্যমে তৎকালীন অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান তাকে নিয়োগ দান করেন। সেই প্রেক্ষিতে আঃ হাকিম সরকার ২০১০সালের ২৪ ফেব্রুয়ারীতে মাত্র এডহক ভিত্তিতে ১হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যের বিপরীতে অফিস সহায়ক হিসেবে কাজে যোগদান করেন। কিন্তু দীর্ঘ ১১বছর অতিবাহিত হলেও তার বেতন-ভাতা বৃদ্ধি না হওয়ায় আঃ হাকিম সরকার মানষিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে বলে তার পরিবার দাবী করে। চাকুরীতে তাঁর বয়স দাঁড়িয়েছে ২০ বছরের অধিক। অথচ আরো কয়েকজন কর্মচারী কয়েক বছর পর চাকুরীর নিলেও বেতন -ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এক স্টাফ লিষ্টে বেতন-ভাতায় দেখা গেছে,কম্পিউটার অপারেটর আতিকুর রহমানের ভাতা ৬হাজার টাকা, অফিস সহকারী সাবিনা মন্ডলের ভাতা ৬হাজার টাকা, অফিস সহায়ক আঃ হাকিম সরকারের ভাতা ৩হাজার, মুয়াজ্জিন শাহজামালের ভাতা ৫হাজার, দারোয়ান সাইফুল ইসলামের ভাতা ৫হাজার ও মালি হাফিজুর রহমানের ভাতা ৪হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এব্যাপারে রাজারহাট সরকারী মীর ইসমাইল হোসেন কলেজের অধ্যক্ষ সফিকুল ইসলাম রানা বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় মাস্টার রোলের কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির প্রসঙ্গ উপস্থাপন করতে পারছি না।