পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের মানুষের আতঙ্কের নাম শাকিল মৃধা ওরফে গাঁজা শাকিল। ধর্ষণ, মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ের নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
শাকিল ওই ইউনিয়নের নলবুনিয়া গ্রামের হাচন মৃধার ছেলে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। জানা গেছে, গতবছরের ২ জানুয়ারি স্থানীয় ব্যবসায়ী মোতালেব হাওলাদারকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে শাকিল। শাকিলের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মাদক মামলার স্বাক্ষী ছিলেন মোতালেব। এর আগে ২০১৮ সালের ২১ মে উপজেলার কোড়ালিয়া লঞ্চঘাট থেকে দুই কেজি গাঁজাসহ শাকিলকে গ্রেফতার করেছিল রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ।
এর দুইমাস আগে ২০ মার্চ জুসের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে এক পরিবারের চারজনকে অচেতন করে মালামাল লুট করে এবং দুই কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সে। পরে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এছাড়াও অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, বর্তমানে এলাকায় শাকিল বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার আতঙ্কে তটস্থ ইউনিয়নবাসী। তাই নিরুপায় হয়ে শাকিলের গ্রেফতার দাবিতে মঙ্গলবার শেষ বিকেলে ওই ইউনিয়নের মোল্লার বাজারে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এতে পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশ নেয়।
এ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য টিপু হাওলাদার, সাবেক ইউপি সদস্য আখতারুজ্জামান লিটন, মোল্লার বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোতালেব হাওলাদার, মেনন হাওলাদার ও জিসান উদ্দিন রাব্বি প্রমুখ।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের অভিযোগ, গাঁজা শাকিলের ভয়ে এই ইউনিয়নের মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। অনতিবিলম্বে তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
ছোটবাইশদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম আবদুল মান্নান বলেন, শাকিলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আছে। তাকে কয়েক বার গ্রেফতারও করা হয়েছিল। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাকিল মৃধার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সন্ধান না পাওয়ায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।