ফরিদপুরের খলিলপুর বাজার একতা সুপার মার্কেট এর জেলা প্রশাসক কর্তৃক বাতিলকৃত একসনা বন্দোবস্ত’র উপর উচ্চ আদালত স্থগিত আদেশ প্রদান করেছেন।
মঙ্গলবার ২০ শে অক্টোবর ২০২০ উচ্চ আদালতের বিচারপতি মো. খাসরুজ্জামান এবং বিচারপতি মো. মাহামুদ হাসান তালুকদার এর দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ প্রদান করেন।
জানা যায়, সদর উপজেলা ভূমি অফিসের অধীন ১৪ নং খলিলপুর মেীজার ১নং খাস খতিয়ানে অবস্থিত সরকারি সম্পত্তি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৫৭৯ নং দাগের ৮ শতাংশ জমি মোট ২২ নথিতে একসনা বন্দবস্ত প্রদান করা হয়। সেসময় ২২ জন নথীয় দখলদার মৌখিক অনুমতি সাপেক্ষে পাকা ছাঁদ দিয়ে তাদের দোকানঘর নির্মান করেন। গত পহেলা অক্টোবর ২০২০ হাট-বাজার নীতিমালা, ১৯৯৭ ভঙ্গ করে ছাঁদ নির্মান করে দোকানঘর উত্তোলন করায় অবৈধ ঘোষনা করে এ মার্কেটের ওই জমির একসনা বন্দোবস্ত বাতিল করেন জেলা প্রশাসক। যা ফরিদপুর সদর উপজেলা ভূমি অফিস, প্রসেস নং- ৭৮/১(২২) নং স্বারকে উল্লিখিত আছে। এ সময় দোকান মালিকরা নিজেদের বৈধতা ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেন। পরে উচ্চ আদালত তার হেয়ারিং শেষে আগামী চয় মাসের জন্য ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের বাতিলকৃত একসনা বন্দোবস্তকে স্থগিত করে আদেশ প্রদান করেন।
উচ্চ আদালতের রিট পিটিশনার রায়হান সরদার চুন্নু বলেন, আমরা ২০১৪ সালে অনুমোদন নিয়ে দোকান ঘর নির্মান শুরু করি। সে সময় আমাদের বাজারের নিরাপত্তার সার্থে প্রশাসনের কাছ থেকে মৌখিক অনুমোদন নিয়ে পাকা ছাঁদ দিয়ে মার্কেট নির্মান করি।
জেলা প্রশাসন আমাদের মার্কেটের বন্দোবস্ত বাতিল করলে আমরা উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করি। রিট আবেদনের শুনানী শেষে জেলা প্রশাসনের আদেশ স্থগিত করে উচ্চ আদালত আদেশ জারি করেন।
জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, খলিলপুর বাজারের মার্কেটটি পাকা ছাঁদ দিয়ে স্থাপনা করায় হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা নীতিমালা লঙ্ঘন হয়। পরে আমরা তাদের বন্দোবস্ত বাতিল করি।
তিনি বলেন, দোকান মালিকদের উচ্চ আদালতে রিটের পরে উচ্চ আদালতের স্থগিত আদেশের বিষয়ে আমি এখনও অবগত নই। এমনটা হলে উচ্চ আদালতের এ আদেশের উপর আমরা আপিল করবো।