ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাসান আরশাফ মোল্যার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার সময়ে হাসান আশরাফ না থাকলেও ষড়যন্ত্র মুলক ভাবে তাকে আসামি করা হয়েছে বলে এলাকাবাসী দাবী করেছেন। এরইমধ্যে এই মামলায় আসামি ইকরাম মুসল্লী (৪৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা করছে এলাকাবাসি।
সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে ২১ অক্টোবর বুধবার বিকেলে নকুলহাটি বাজারে ইট কেনাবেচা নিয়ে কিত্তা গ্রামের আখের আলীর সাথে বোয়ালমারী উপজেলার নতিবদিয়া গ্রামের বিশু মাতুব্বরের সাথে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় বিশু মাতুব্বরের মাথায় আঘাত লাগে। নকুলহাটি বাজারের পল্লী চিকিৎসক ডাক্তার মোস্তফা কামাল বিশু মাতুব্বরকে মাথায় সেলাই দিয়ে বাড়ী পাঠিয়ে দেয়।
কিন্তু এলাকার কুচক্রী মহল বিষয়টি নিয়ে এলাকায় অস্থিতিশীল গড়ে তুলতে ওঠে পড়ে লাগে। ষড়যন্ত্র মুলক ভাবে বিশু মাতুব্বরকে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ বিষয়ে বিশু মাতুব্বরের ভাই নুর ইসলাম মাতুব্বর বাদি হয়ে সালথা থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য হাসান আরশাফ বলেন, যে সময় বাজারে মারামারি হয় তখন আমি বাজারেই ছিলাম না অথচ আমাকে কোপের আসামি করা হয়েছে। পল্লী চিকিৎসক ডাক্তার মোস্তফা কামাল বিশু মাতুব্বরকে মাথায় সেলাই দিয়ে বাড়ী পাঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু একজন সুস্থ লোককে ষড়যন্ত্রের করে এখনো হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছে এই ঘটনাটি অনাকাংখিত। এলাকার একটি মহল রাজনৈতিক কারণে আমাকে এই মামলায় আসামি দিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে।
মামলার বাদী নুর ইসলাম বলেন, যারা এই হামলার সাথে জড়িত তাদেকেই আসামি করা হয়েছে।