‘বাজামানি শব্দটি আমার গবেষণার লব্ধ। যার অর্থ বাংলাদেশের জানুয়ারি মার্কায় অনুষ্ঠিত নির্বাচন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে বিজয়ী হতে যদি বাজামানির জনক কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ এবং ডিসেম্বর মার্কার জনক নুরুল হুদার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সহযোগিতা নিতো, তবে আমেরিকানদের ইতিহাস বদলে যেতো। ক্ষমতার আস্ফালনে তৃতীয় বারের মতো ডোনাল্ড ট্রাম্পও বিজয় হয়ে প্রেসিডেন্ট পদে ফের ক্ষমতা আকড়ে ধরতে পারতেন। যেমন ক্ষমতা আকড়ে ধরতে পেরেছে আওয়ামী স্তাবকরা। প্রথমে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত জানুয়ারী মার্কায় ভোটগ্রহণের নামে ভাওতাবাজি, দ্বিতীয়ত ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগের দিন ২৯ ডিসেম্বরের রাতের আঁধারে ভোটগ্রহণের কাজ শেষ করে রাখা চরম হিম্মত বাজামা ইসির রয়েছে।
কীভাবে ভোটগ্রহণের আগেই রাতের আঁধারে অস্বাভাবিক কাস্টিং ভোটে নির্বাচনের নাম ভাঙিয়ে ক্ষমতাসীন দলকে বিজয়ী করতে হয়, অপ্রত্যাশিত ওই অভিজ্ঞতা নুরুল হুদা ইসির কমতি ছিলনা। আজগুবি নির্বাচনে ভৌতিক ভোটে আওয়ামী লীগকে যেভাবে ক্ষমতায় আসীন করা হয়েছে, ওই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ডোনাল ট্রাম্পকে বিজয়ী করতে নিশ্চয় ‘নীল ছক’ এঁকে দিতে পারতো বাজামা ইসি! একই সঙ্গে নির্বাচনে অস্বাভাবিক ভোটের পরিসংখ্যানের চিত্র ফুঁটে উঠলেও এখানকার গণমাধ্যমকে ডান্ডা বেরি পড়িয়ে কীভাবে নীরবতা পালন করাতে হয় ওই অভিজ্ঞতাও নিতে পারতেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীনরা মিথ্যা তথ্য উত্থাপন করলেও এখানকার গণমাধ্যমগুলোকে বাহারি-রকমারি শিরোনামে ইতিবাচক খবর প্রকাশ করতে বাধ্য করা হয়, সেটাও জানতে পারতেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদি নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ সফর করতেন, তবে আর মিথ্যা বলায় ভাষণ সম্প্রচার বন্ধ করার শিকার হতে হতো না ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দু’দিন পর গত ৫ নভেম্বর প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে এসে বক্তব্য দিয়েছেন। এ সময় নির্বাচনে জয় নিয়ে তাঁর মিথ্যা দাবি এবং তথ্যহীন ভোট জালিয়াতির কথা বলছিলেন। এ সময় আমেরিকার প্রধান কিছু সংবাদমাধ্যম ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এমএসএনবিসি হোয়াইট হাউস থেকে সরাসরি অনুষ্ঠান প্রচার করে। বিখ্যাত সাংবাদিক ব্রায়ান উইলিয়ামস ওই সময় অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছিলেন। ট্রাম্প তাঁর ভিত্তিহীন বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করলে এমএসএনবিসি সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। ব্রায়ান উইলিয়ামস বলেন, ‘আবারও আমরা একটি ব্যতিক্রমী অবস্থান নিচ্ছি। আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তৃতা সম্প্রচারই শুধু বন্ধ করছি না, আমরা তাঁকে সংশোধন করেও দিচ্ছি।’ প্রেসিডেন্টের বক্তব্য বাস্তবতার সঙ্গে সম্পর্কহীন উল্লেখ করে উইলিয়ামস জানান, ‘আমাদের দেশ যে জায়গায় অবস্থা করছে, সেখানে এ বক্তব্য বিপজ্জনক।’ সিএনবিসির সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার সময় সাংবাদিক শেফার্ড স্মিথ জানিয়েছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যা বলছেন তা সর্বান্তকরণে অসত্য।’ সিএনএনএনের সাংবাদিক এন্ডারসন কুপারের দাবি, ‘বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তিকে আমরা দেখছি, যেনো রোদে পোড়া স্থূল কচ্ছপের মতো। ভাসতে ভাসতে যে মনে করছে তাঁর সময় শেষ হয়ে আসছে।’ (তথ্যসূত্র : প্রথম আলো- ০৬.১১.২০২০)
ডোনাল ট্রাম্প বাংলাদেশে আজগুবি নির্বাচনে ভৌতিক ভোটের উদ্ভাবক নুরুল হুদার ইসিকে যেমন গুরুত্ব দেননি। তেমনই আমলেও নেননি। সেকারণেই হয়তো ডোনাল্ড ট্রাম্প বাজামা ইসির অভিজ্ঞতার শিক্ষা নিতে বাংলাদেশে আসেননি। এখন রাজনীতি করার কিছু নেই। ডোনাল ট্রাম্প পরাজিত হওয়ার জন্য সে নিজেই দায়ী। নির্বাচনী যাত্রায় বাজামা ইসি থেকে শিক্ষা নিতে না পারার মাসুল এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পেকেই বহন করতে হবে। সকল জনমত জরিপকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ডোনাল ট্রাম্প হয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। জরিপ কি তবে ভুল ছিল? আমেরিকার নির্বাচনের শেষ কথা না হওয়া পর্যন্ত কিছু নিশ্চিত করে বলাটা বড়ই দুষ্করই বটে। অপ্রত্যাশিত আচমকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ায় সবার কপালে চিন্তার বাজ পড়েছিল। অনেকে মনে করছিলেন, বিশ্ব রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা তা মনে করেননি। তাদের দাবি ছিল, আমেরিকার ফাওন্ডার ফাদাররা সংবিধান এবং পররাষ্ট্রনীতি যেভাবে রচনা করে গেছেন ডোনাল ট্রাম্প ইচ্ছা করেও এতো সহজে তা ভাঙ্গতে পারেন না। ডোনাল ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় মনগড়া কথা বলে ছিলেন। আসলে ওনি কতটুকু কথা রাখতে পেরেছেন আমেরিকান জনগণ সেটা দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনকালে ভালো করেই দেখেছেন। তারা জবাবের প্রহর গুনছিলেন। এবার হয়তো ভোট-অস্ত্রের ওই জবাবটাই দিলেন আমেরিকানরা।
আমিকানরা বুঝতে পেরে ছিলেন ডোনাল ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট বানিয়ে কতো বড় ভুল করা হয়েছিল। রাশিয়া এবং আমেরিকা চির বৈরী দুই দেশ। ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে। বাঘে মহিষে এক ঘাটে কি জল খায়? এদিকে ওনি উত্তর কোরিয়ার দিকে মনযোগী হবেন। এটা কি সম্ভব? রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ওনি বন্ধুত্ব করলেন, কিন্তু চীনের অর্থনীতির লাগাম টেনে ধরার জন্যই ওনার ওই নিল নকশা! আমেরিকানরা ডোনাল ট্রাম্পকে নিয়ে যতটা দুশ্চিন্তা করে ছিলেন বাস্তবে তিনি তেমনটা ঘটিয়েছেন। তবে বিদেশি অভিবাসীদের প্রতি ওনি কঠোর হবেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেই ভাবা হয়েছিল।
ডোনাল ট্রাম্প যদি বাজামা ইসির অভিজ্ঞতা নিতো, তবে জানতে পারতো আওয়ামী বেসামাল উন্নয়নের মহাসড়কের বাংলাদেশে প্রথমে দশম জাতীয় সংসদ দ্বিতীয়ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখানে রয়েছে চরম ভাওতাবাজির নীল নকশা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতির জন্য কলঙ্কের তিলক হয়ে আছে। ওই নির্বাচনে একটি ভোটও পড়েনি ৪১টি কেন্দ্রে।
৩২০০ ভোটারের মধ্যে মাত্র ১টি ভোট পড়েছিল লালমনিরহাটের ১টি কেন্দ্রে। একতরফার জালিয়াতির এ ভয়াবহ নগ্নতা দেখে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন ২৬ জন প্রার্থী। ভোট জালিয়াতির ক্ষেত্রে বলতে গেলে রাখঢাক ছিল না কারও। খোদ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ছেলে একাই ৪৫০টি ভোট দেয়ার খবর গণমাধ্যমের। নরসিংদী-৩ আসনের সরকার দলীয় এমপিকে ভোটাররা আটকে রেখেছিলেন জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে। খুলনা-১ আসনের দুই প্রার্থী পঞ্চানন বিশ্বাস ও ননীগোপাল ম-ল যে যার এলাকায় ফ্রি-স্টাইলে দিয়েছেন জাল ভোট। তবে এ ক্ষেত্রে রেকর্ড করেছে কিশোরগঞ্জের তাড়াইলের একটি কেন্দ্রে। সেখানে ভোট দিতে কেউ না গেলেও ৯০% ভাগ ভোট পড়েছে বলে ঘোষণা হয়েছে। যশোরের একটি কেন্দ্রের ১৭ ভোট পরিণত হয়েছে ১৭০০ ভোটে! এমন ফ্রি-স্টাইলে ‘ব্লক’ দিয়ে নির্বাচন হয়েছিল ১৯৮৬ সালে। তখন দেখানো হয়েছিল ৬৬.৩% ভাগ ভোট। ১৯৮৮ সালের ৩রা মার্চের নির্বাচন ছিল এবারের এই ফ্রি-স্টাইলের মতোই একতরফা। এতে ভোট দেখানো হয়েছিল ৫১.৮% ভাগ। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নিন্দিত নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ২৬.৫% ভাগ। পর্যবেক্ষকদের মতে, ৯০% ভাগ জাল ভোটসহ ১০% ভাগ ভোট কয়েক গুণ বাড়বে।
রাজনৈতিক সহিংসতা, ভোটকেন্দ্র দখল ও নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম ভোটার উপস্থিতির মধ্য দিয়ে দশম সংসদ নির্বাচন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ার পরও বিরোধী দলবিহীন এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা ভোটকেন্দ্র দখলের মহোৎসব করেছেন বিভিন্ন কেন্দ্রে। সরজমিন ভোটার উপস্থিতি নামমাত্র হলেও ইসির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে বেশির ভাগ ভোট পড়েছে। নজিরবিহীন এ নির্বাচন সফল করতে দিনভর ইসিতে চলে নানা কারসাজি, লুকোচুরি। ইসি রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৫০-এর বেশী ভোট কেন্দ্র স্থগিত করার তথ্য দিলেও পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদের নির্দেশে গণমাধ্যমে তথ্য দেয়া বন্ধ করে দেয় ইসি। নির্বাচনে শুধু প্রধান বিরোধী দল অংশ নেয়নি এমন নয়। নিবন্ধিত ৪২টি দলের মধ্যে অংশ নেওয়া দলের সংখ্যা মাত্র ১২। অধিকাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ায় সিংহভাগ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এমন নির্বাচন কতোটা গ্রহণযোগ্যতা পেতে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও মুখ ফিরিয়ে নেয়। (তথ্যসূত্র : মানবজমিন- ৬.০১.২০১৪)
পরবর্তীতে ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগের রাতেই সেরে ফেলে ক্ষমতার চরম হিম্মত দেখিয়েছিল নুরুল হুদার বাজামা ইসি। উভয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দলের দাবি নাগরিক সমাজের মতামত ও সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়া উপেক্ষা করে ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করতে সক্ষম হওয়ায় তাদের জেদাজেদির জায়গায় জয় হলেও নৈতিকভাবে তাদের বড় ধরনের পরাজয় ঘটলেও ক্ষমতায় তাদের কেল্লাফতেছে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি তাদের দাবি আদায় না হওয়ায় নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি নির্বাচন প্রতিহতের ডাক দিয়েছিল। সাধারণ মানুষের প্রতি আহবান জানানো হয়েছিল নির্বাচন বর্জনের। প্রতিহত করতে বিরোধীদল ব্যর্থ হলেও নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির যে হার দেখা গেছে, তাতে সাধারণ মানুষ যে নির্বাচন বর্জন করেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ নির্বাচন যেভাবে উৎসবমুখর হয়ে থাকে তা ওই দুই নির্বাচনে পরীলক্ষিত হয়নি। ভোটারের উপস্থিতি অতীতের যেকোনো নির্বাচনকে হার মানিয়েছে। এক্ষেত্রে বিরোধী দল এক অর্থে সফল। একইসঙ্গে সরকারি দলের জন্য এটি শুধু বিব্রতকরই নয়, লজ্জাও বটে। সরকার ইচ্ছা করলে এধরনের পরিস্থিতি এড়াতে পারতো।
অর্থাৎ নির্বাচনের আগেই দেশি-বিদেশি সবমহলের কাছে ওই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। শেষপর্যন্ত ভোটারের ন্যূনতম উপস্থিতির মাধ্যমে ওই প্রশ্নবিদ্ধতার ষোলকলা পূর্ণও হয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে যে সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, তাতে সাধারণ বোধবুদ্ধি থাকলে ওমন নির্বাচনের আয়োজন করতো না ইসি।
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকবতা থাকলেও সংবিধানের মধ্য থেকেই নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে সমঝোতার যে সুযোগ ছিল, সরকার তা গ্রহণ না করে নির্বাচন আরো প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলা হয়েছিল। নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলো ছাড়াও দেশের বেশিরভাগ মানুষ চেয়েছিল নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে সমঝোতামূলক নির্বাচন হোক। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তা না করায় নির্বাচনে সাধারণ মানুষের যে অংশগ্রহণ তাতে তাদের হতাশাই প্রকাশ পেলেও কিছু যায়-আসেনি বাজামা ইসির। নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দলের অংশগ্রহণ না থাকায় সহিংসতা ও অনিশ্চয়তা দীর্ঘ মেয়াদি হলেও সেদিকে ভাববার সময় নেই বাজামা ইসির! নির্বাচনের আগে যদি ডোনাল ট্রাম্প এসব নির্বাচনের অভিজ্ঞতা নিতেন, তবে নির্বাচনে পতরবরণ করে তাকে ক্ষমতার বাইরে যেতে হতো না। যেমনটি হয়নি আওয়ামী স্তাবকদের।
তবে মনে রাখা দরকার যে, ওই নির্বাচন-রাজনীতি, অর্থনীতি, গণতন্ত্র সবকিছুর জন্যই গলার কাটা হয়ে থাকবে। এর দায়ভার বহন করতে হবে ক্ষমতাসীনদেরই। এধরনের নির্বাচন দেশ ও দেশের মানুষকে কী দিতে পারবে সেটাই এখন ভাববার বিষয় বটে। ডোনাল ট্রাম্প-আওয়ামী স্তাবকসহ সবপক্ষেরই এসব থেকে শিক্ষা নেওয়া অতিব জরুরিই বটে।
লেখক : দৈনিক সংবাদের সাবেক সহ-সম্পাদক